মন্দ কাজে কসম করার বিধান
কোনো কাজকে করা না করার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া হলো কসম। এ কসমের ভালো ও মন্দ উভয় দিকই রয়েছে। তবে পাপের কাজে কসম করা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কোনো ব্যক্তি যদি পাপ বা অন্যায় কাজের কসম করে, তখন তার করণীয় কী, তা তুলে ধরা হলো-
পাপ কাজের কসমের ধরন-
>> যদি কেউ কসম করে যে, আমি নামাজ পড়বো না; পিতা-মাতার সঙ্গে কথা বলবো না; অমুক ব্যক্তকে অবশ্যই হত্যা করবো ইত্যাদি এ ধরনের পাপের বা অন্যায় কসম করে থাকে তবে তাকে নিজ থেকেই কসম ভঙ্গ করে তার কাফফারা দিয়ে দেয়া উচিত।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি কোনো বক্তি (কোনো কিছু করা বা না করার ওপর) কসম করে, তারপর এর বিপরীত দিকটা তার কাছে উত্তম মনে হয়, তখন সে যেন উত্তম কাজটাই করে আর কসমের কাফফারা দিয়ে দেয়। (বুখারি, মুসলিম, হিদায়া)
>> যদি কোনো ব্যক্তি নিজের ওপর হালালকে হারাম করার কসম খায়, যেমন বলে- যদি আমার ভাই নামাজ পড়ে, জাকাত আদায় করে, তার ছেলে বা মেয়েকে বিবাহ দেয় তবে আমার জন্য এখানে থাকা হারাম হবে। এটাও কসম। এ জাতীয় কসমের ক্ষেত্রে যদি ঐ ব্যক্তি হালাল কাজের সমর্থন করে তবে তাকে কাফফারা দিতে হবে।
>> অনুরূপভাবে পূর্ব থেকেই যদি কেউ নিজের ওপর হারাম কাজকে কসম খেয়ে হারাম করে সেক্ষেত্রেও কসম হয়ে যাবে। এ কসম ভঙ্গের জন্যও কাফফারা দিতে হবে। যেমন- কেউ বলল, ভবিষ্যতে আমার জন্য সিনেমা দেখা হারাম; শরাব পান করা হারাম। যদি পুনরায় সে সিনেমা দেখে এবং শরাব পান করে; তবে সে কঠিন গোনাহগার হবে এবং তার কসম ভাঙ্গার জন্য কাফফারা দিতে হবে। (আহসানুল ফাতওয়া)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অন্যায় ও পাপ কাজের কসম করা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। অন্যায় ও পাপের কাজ পরিত্যাগ করতে কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি