ঈমান ও আমল ছাড়া বংশ পরিচয়ে সফলতা সম্ভব নয়
ইয়াহুদিদের মধ্যে যারা যারা পিতৃপুরুষদের গৌরব, বংশ মর্যাদার গর্ব এবং পয়গাম্বরদের সন্তান হওয়ার কথা বলে বেড়াত, তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ তাআলা অনেক আয়াত নাজিল করেন। ইসলামে নাম-পরিচয়ের কোনো স্থান নেই; পূর্বপুরুষদের নেকির ওপর ভরসা করা যাবে না বরং ঈমান, আমল ও সঠিক কর্মের মধ্যমে সফলতা সম্ভব। আর এটা কিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল মানুষের মুক্তির মূলমন্ত্র। তাই ইয়াহুদিদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘এরা ছিল কিছু লোক। এরা তো অতীত হয়ে গেছে। তারা যা কিছু উপার্জন করেছে, তা তাদের নিজেদের জন্যই আর তোমরা যা উপার্জন করবে, তা তোমাদের জন্য। তারা কি করতো সে কথা তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে না।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩৪)
ইয়াহুদিরা হজরত ইবরাহিম, ইসমাইল, ইয়াকুব আলাইহিস সালামদের নিয়ে সীমাহীন গর্ববোধ করতো। নিজেদেরকে তাদের বংশধর বলে পরিচয় দিতো। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ধমক দিয়ে বলছেন, নবিদের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক আছে বলে তোমরাও তাদের নেক আমলের দ্বারা পার পেয়ে যাবে এ আশা করবে না। বরং তোমাদের নেক আমল তোমাদের উপকারে আসবে।
এ আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকেই ইসলামের বিধি-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ইসলামের বিধি-বিধান, হালাল-হারাম, আদেশ-নিষেধ না মেনে, নেক-আমল না করে, শুধুমাত্র পীর-ফকির, ওলি-আউলিয়াদের ওপর ভর করে পরকালে ডান হাতে আমলনামা পাওয়া যাবে না। আখিরাতে মুক্তি মিলবে না।
পরকালের সফলতা লাভ করতে হলে অবশ্যই ইসলামের বিধি-বিধান যথাযথ পালন করতে হবে। ইসলামের পূণাঙ্গ অনুসারীদের অনুকরণ করতে হবে। সর্বোপরি কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারলেই কেবল পরকালের মুক্তি সম্ভব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে পরকালের অনন্ত জীবনের পাথেয় অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস