ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

হজের মুসাফির মুসলিম উম্মাহ

প্রকাশিত: ০৭:২৫ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৬

সামর্থবান মুসলমানদের আল্লাহর প্রেমে বিলিন হওয়ার আবেগ-অনুভূতির আরেক নাম হজ। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র নগরী মাক্কাতুল মুকাররামা আর ক`দিন পরেই অপরূপ শোভা লাভ করবে। হজ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সেখানে চলছে ব্যাপক পরিকল্পনা প্রস্তুতি। সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যারা `লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক` নামক স্বর্গীয় সূধার অপূর্ব ছন্দের সূল তুলতে অধীর আগ্রহের অপেক্ষা রয়েছে, তাদের জন্যই কেবল মাওলার দিদারের সুখবর।

আল্লাহ প্রেমিক মুসলিম উম্মাহ যাবে মাওলার প্রেমের সরাব পান করতে পবিত্র নগরী মক্কায়। হাজিরা দিবে মসজিদে হারামে অবস্থিত মু`মিন হৃদয়ের সর্বোচ্চ তীর্থস্থান পবিত্র কা`বায়। আবেগ-অনুভূতির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তারা তাওয়াফ করবে বাইতুল্লা। যেখানে ফুলের মালা সমেত অভ্যর্থনায় থাকবে ফিরিশতাকূল। একত্রিত হবে মুসলিম মিল্লাত। এ হজ পালনে বিশ্ব মুসলিমের প্রস্তুতি নেয়ার সময় এখনই।

হজ হচ্ছে বিশ্ব মুসলমানের আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। সামর্থবানদের জন্য যা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক ফরজ ইবাদত। এ ইবাদাতের জন্য সম্পদ এবং শারিরীক সামথ্য উভয়টি প্রয়োজন। তাই যে ব্যক্তি সম্পদশালী এবং শারিরীক সামর্থ্যবান তার ওপর জীবনে একবার হজ্জ ফরজ।

শারিরীক সক্ষম ও সম্পদশালী যে ব্যক্তি হজ পালনে বিরত থাকবে, তাকে গোনাহগার হতে হবে। কেননা আল্লাহ তাআলা হজকে সামর্থবান মানুষের জন্য আবশ্যকীয় ইবাদাত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।

এ হজ্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইসলামের নাড়ীর সম্পর্ক। এমন এক স্থানে হজ সম্পাদনের বিধি-বিধান করা হয়েছে, যে স্থান হচ্ছে- পৃথিবীর প্রথম ইবাদতগৃহ ও বিশ্ব মুসলিমের মিলনমেলার কেন্দ্রস্থল। যা প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও প্রথম মানবী হজরত হাওয়া আলাইহিস সালামের পবিত্র স্পর্শে প্রথম ধন্যভূমি। যে পূণ্যভূমিতে যুগ যুগ ধরে ইবাদাত-বন্দেগির মাধ্যমে বিচরণ করেছে অগনিত অসংখ্য নবী ও রাসুল।

বিশেষ করে মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর পুত্র  হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম এবং হজরত বিবি হাজিরার অতুলনীয় ত্যাগের মহিমা গাঁথা একত্ববাদের বিচরণক্ষেত্র এ পবিত্র নগরী মাক্কাতুল মুকাররামাহ।

সর্বশেষ যে ভূমিতে সত্যদ্বীনসহ প্রেরিত হয়েছেন বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এখানেই সমগ্র মানবমণ্ডলীর পথ ও পাথেয় হিসেবে ইসলাম চূড়ান্ত বিধি-বিধান হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। এ ইসলামের ইবাদাতের ধারা, বিধি-বিধান এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য কা’বায় আজও সমহিমায় বিদ্যমান।

সে পবিত্র নগরীর তীর্থভূমিতে কাবা-ঘর নামক আল্লাহর ঘরে জীবনে একবার হলেও শির লুটিয়ে দিতেই একত্ববাদের প্রেমিকরা আত্মহারা পাগলপারা। তাইতো আল্লাহ তার সামর্থ্যবান প্রেমিকেদের জন্য বাইতুল্লার যিয়ারাতকে ফরজ করেছেন।

আর কিছুদিন পরই আশেকে বাইতুল্লাহ এবং আশেকে মদিনার যাত্রীরা দলে দলে একত্রিত হবে এ পবিত্র নগরীতে। বাইতুল্লাহ মুসাফিরদের জন্য শুভকামনার পাশাপাশি প্রস্তুতি ও করণীয়মূলক নিবন্ধ এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরা হবে পর্যায়ক্রমে।

আল্লাহ তাআলা বাইতুল্লাহ যিয়ারতের সকল পূণ্যবান যাত্রীকে কবুল করুন। সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বাইতুল্লাহ যিয়ারাতের তাওফিক দান করুন। প্রশান্ত করুন মুমিন হৃদয়কে... আমিন।

এমএমএস/পিআর