ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ইসলামকে জীবন-ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করার উপদেশ

প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৬

হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী নিজে যেমনিভাবে মুসলিম হতে পেরেছিলেন। সেভাবেই তাঁর সন্তানদিগকে মুসলমান হওয়ার তথা চূড়ান্ত আত্মসমর্পণকারী হিসেবে নিজেদেরকে তৈরির করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। বলেছেন, যেন মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ না করে। কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা সে কথার উল্লেখ করে বলেন-

Quran-Inner

আর (হজরত) ইবরাহিম ও (হজরত) ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) তাদের স্বীয় সন্তানগণকে সদুপদেশ স্বরূপ অসিয়ত করেছিলেন- হে আমার বংশধরগণ! নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্যে এই ধর্ম মনোনীত করেছেন, অতএব তোমরা মুসলমান না হয়ে মরো না।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩২)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম ও ইয়াকুব আলাইহিস সালামের পরবর্তী বংশধরদের জন্য জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে কবুল করেছেন; ইয়াহুদি ধর্মকে নয়। এর বক্তব্যই এখানে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠেছে। শুধু এ আয়াতেই নয়, কুরআনের অনেক আয়াতে তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন বা জীবন-ব্যবস্থা হলো শুধুমাত্র ইসলাম। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯)

আয়াত নাজিলের প্রসঙ্গ
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আরবজাতি ও ইয়াহুদি জাতি সকলের মহান পূর্বপুরুষ ছিলেন এবং খ্রিস্টানদেরও অনুসরণীয় পুরোধা ছিলেন। আবার হজরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম, যিনি ইসরাইলি বংশধরদের মহান পিতৃপুরুষ ছিলেন।

এ দুই পয়গাম্বর নিজেরাই তাঁদের সন্তানদের জন্য তাঁদের পছন্দনীয় ও আল্লাহ তাআলার মনোনীত দ্বীন বা জীবন-ব্যবস্থা হস্তান্তর করে গিয়েছিলেন। এবং বলে গিয়েছেন যে, ধর্ম/দ্বীন বা জীবনব্যবস্থার সন্ধানে তোমাদের দিশেহারা হওয়ার প্রয়োজন নেই।

তোমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার মনোনীত দ্বীন তথা জীবন-ব্যবস্থা ‘তাওহিদি দ্বীন’ বিদ্যমান রয়েছে।

পরিশেষে...
আজকের পৃথিবীতে যারা নিজেদেরকে পূর্বপুরুষদেরকে অনুকরণের মানদণ্ড, সূত্র বানাতে চায়; তাঁদের জন্য এ আয়াতটি যথেষ্ট যে, উভয় পয়গাম্বরের নসিহত হলো- ইসলামই সবার জন্য একমাত্র মনোনীত দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা।

তাঁদেরই উপদেশ যে, তাঁদের পরবর্তী বংশধরগণ যেন, মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ না করে।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার সকল জাতিকে মিল্লাতে ইবরাহিমের অনুসারী এবং ইসলামকে একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় জীবন-ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

আরও পড়ুন