জামাআতে নামাজ আদায়ের ফজিলত
জামাআতে নামাজ আদায় ইসলামে অন্যতম মহান দৃশ্য। যা ফেরেশতাগণের সারিবদ্ধ হয়ে ইবাদাতের সাথে সাদৃশ্য রাখে। জামাআতে নামাজ মানুষের পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, পরিচয় লাভ ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয় এবং মুসলিম উম্মাহর সম্মান, শক্তি ও একতার নিদর্শন বহন করে।
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মুসলিম; যার মসজিদে যাওয়ার শক্তি আছে, তার জন্য মসজিদে জামাআতে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। আর এই জামাআতে নামাজ আদায়ের বিধান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য; তা সফর অবস্থায় হোক বা বাড়িতে থাকা অবস্থায় হোক কিংবা নিরাপদ অবস্থায় হোক বা ভয়ের মধ্যে হোক। জামাআতে নামাজের ফজিলত বর্ণনায় বিশ্বনবির হাদিস তুলে ধরা হলো-
১. হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘একাকি নামাজের চেয়ে জামাআতে নামাজের ফজিলত সাতাশ গুণ বেশি।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘পঁচিশ গুণ বেশি।’ (বুখারি, মুসলিম)
২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কোনো ফরজ আদায়ের জন্য ঘরে ওজু করে আল্লাহর কোনো ঘরের (মসজিদ) দিকে রওয়ানা হয়, তার প্রতিটি দুই ধাপের প্রথমটি দ্বারা একটি গোনাহ মাফ হয়ে যায় এবং অপরটির দ্বারা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।’ (মুসলিম)
৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে বা বিকালে মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারির (অতিথির সেবার) ব্যবস্থা করেন, যখন সে সকালে বা বিকালে গমন করে।’ (বুখারি, মুসলিম)
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ আদায় করে উল্লেখিত ফজিলত অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস