ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জেনে নিন ই’তিকাফের মাসায়িল

প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ২৬ জুন ২০১৬

আজ সন্ধ্যার পূর্বে ই’তিকাফকারীগণ মসজিদে অবস্থান গ্রহণ করবেন। ই’তিকাফকারীদের জন্য কিছু গরুত্বপূর্ণ মাসায়েল তুলে ধরা হলো।-

১.  মুমিন বান্দাদের জন্য ২০ রমজান সূর্যাস্তের পূর্বে অর্থাৎ ইফতারের পূর্বেই ই’তিকাফের নিয়তে মসজিদে পৌঁছে যাওয়া আবশ্যক।

২. ই’তিকাফের জন্য নিয়্ত করা আবশ্যক। এক সঙ্গে দশদিনের জন্য নিয়্ত না করলে সুন্নাত ই’তিকাফ আদায় হবে না, বরং তা নফলে পরিণত হবে।

৩. মাসনুন ই’তিকাফের নিয়ত করলে অবশ্যই তা পূর্ণ করা আবশ্যক। ওজর ব্যতীত তা ভঙ্গ করা বৈধ নয়।

৪. ই’তিকাফকারীর জন্য ই’তিকাফ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৮৭) এমনকি স্ত্রীকে চুমু খাওয়া, আলিঙ্গন করাও বৈধ নয়।

৫. মাসনুন ই’তিকাফ শুরু করার পর কোনো ব্যক্তির যদি দু’একদিন ভঙ্গ হয়ে যায়, তখন ভঙ্গ দিনের ই’তিকাফ পরে কাযা করে নিতে হবে।

৬. পারিশ্রমিক বা ইফতার-সেহরির বিনিময়ে ই’তিকাফ করা ও করানো কোনোটিই বৈধ নয়।

৭. ই’তিকাফকালীন কুরআন তিলাওয়াত, তাসবিহ তাহলিল করা, দ্বীনি মাসআলা-মাসায়েল আলোচনা করা, নিজের শিক্ষা অর্জন করা এবং অন্যকে শিখানো উত্তম এবং বৈধ।

৮. চুপচাপ থাকাকে ইবাদাত-বন্দেগি মনে করে চুপ থাকলে ই’তিকাফ মাকরূহ হবে। তাছাড়া মুখের গোনাহসমূহ হতে বিরত থাকতে চুপ থাকা বড় ইবাদাত।

৯. ই’তিকাফের স্থানকে ব্যবসাস্থল বানানো মাকরূহ। ওয়াজিব ই’তিকাফ ফাসিদ বা বাতিল হয়ে গেলে তার কাযা আদায় করা ওয়াজিব। ই’তিকাফকারী নিজের কারণে ফাসিদ/বাতিল হোক অথবা হায়েজ (ঋতুস্রাব) বা নিফাসের (রক্তস্রাব) কারণে বাতিল হোক। পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।

১০. মহিলারা নিজেদের গৃহের ই’তিকাফের স্থানকে কাপড় দিয়ে পর্দা টেনে নিবে, যাতে বেগানা পুরুষসহ যে কেউ আসলে ই’তিকাফের স্থান ত্যাগ না করতে হয়।

আল্লাহ তাআলা ই’তিকাফের হক যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

আরও পড়ুন