যে কারণে ফিতরা আদায় করবেন
কল্যাণের আরেক নাম ফিতরা। যা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে বিধিবদ্ধ হয়। ফিতরা আদায়ে আনন্দ-অনুভূতি লাভ করে সেই জন, যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের মহব্বত অন্তরে পোষণ করে। এ ফিতরা আদায়ে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হিকমাত। যা তুলে ধরা হলো-
১. রোজাদারের সকল অবাঞ্ছনীয় কাজ, যৌনাচার তথা ফাহেশা কাজ থেকে পবিত্র করার হাতিয়ার ফিতরা। যা সে রোজাকালীন অবস্থায় করে ফেলেছে। ফিতরা আদায়ের মাধ্যমেই রোজার ঘাটতি ক্ষতিপূরণ হয়। কেননা নেকির কাজ পাপকে ধ্বংস করে দেয়।
২. ঈদের দিন গরিব ও মিসকিনদের আনন্দ-বিনোদন, উত্তম খাবারের আয়োজনের সহজলভ্যতায় ফিতরা সহায়ক। যাতে তারাও ধনীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। যারা অস্বচ্ছল, অন্যের সাহায্য লাভে খাবার জোগাড় করতে হয়; তাদের অন্তত ঈদের দিনটাতে যাতে লাঞ্ছিত হতে না হয় এবং ঘরের খাবার দেখে মনের ভেতর যেন খুশির ঢেউ আসে, এ জন্যই সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজবিজ্ঞানী, উম্মতের দরদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফিতরার এই সুব্যবস্থা করে গেছেন।
৩. আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য এই ফিতরা আদায় করতে হয়। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার তাওফিক দান করেছেন। যাতে রোজা ছোট ছোট ত্রুটিসমূহ মাফ হয়ে যায়।
৪. আল্লাহ তাআলা দীর্ঘ একটি বছর আমাদেরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখার পর পবিত্র রমজানের রোজা দান করেছেন। তাই এ সুস্থ দেহের জাকাত হল ফিতরা।
৫. সর্বোপরি রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাসে রোজা পালন শেষে যাতে আত্মশুদ্ধির প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ হয়। সে লক্ষ্যে আল্লাহর পথে মাল (অর্থ) খরচের মাধ্যমে নিজেদেরকে পবিত্রতা করার জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার বিবিধ উপকারে গরিব ও অসহায়দের মাঝে ফিতরা আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস