উম্মতের জন্য বিশ্বনবির উপদেশ
মানুষের জন্য পথিবীর শ্রেষ্ঠ উপদেশ গ্রন্থ কুরাআনুল কারিম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস। যারা এ কুরআন এবং হাদিসের উপদেশ গ্রহণ করবে; তারা দুনিয়ার কল্যাণ লাভ করবে এবং আখিরাতে নাজাতপ্রাপ্ত হবে। সংক্ষেপে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষিত মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপদেশ তুলে ধরা হলো-
১. কোনো মানুষ যদি পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে চায়, তবে সে যেন উত্তম চরিত্র অর্জন করে;
২. যে বক্তি সবচেয়ে বড় আলেম হতে চায়, তার জন্য তাকওয়া অর্জন করা আবশ্যক। কারণ আল্লাহ ভয় ছাড়া আলেম হওয়া সম্ভব নয়।
৩. সবচেয়ে বেশি সম্মানিত হতে পারবে সে ব্যক্তি, যে মানুষের নিকট কোনো কিছু হাত পেতে চায় না।
৪. আল্লাহর নিকট সর্বাধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করে।
৫. যে ব্যক্তি সবসময় অজুর সহিত থাকে, আল্লাহ তাআলা তার রিযিকের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করে দেন।
৬. ঐ ব্যক্তি সকল দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, যে ব্যক্তি সব সময় হারাম থেকে বেঁচে থাকে।
৭. কিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলার দরবারে গোনাহমুক্ত ভাবে উপস্থিত হওয়ার আমল হলো, স্ত্রী সহবাসের পর দ্রুত পবিত্র হয়ে নেয়া।
৮. যার দ্বারা কোনো মানুষ অত্যাচারিত হবে না, কিয়ামাতের দিন ঐ ব্যক্তি আল্লহর নূর নিয়ে ওঠবে।
৯. আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা হবে সে ব্যক্তি যে, আল্লাহ তাআলা ফরজ বিধানের প্রতি যত্নবান হবে।
১০. যে ব্যক্তি দুনিয়ার বিপদাপদে সবর করবে, তার দ্বারা জাহান্নামের আগুণ নেভানো সম্ভব হবে।
১১. সর্বোপরি আল্লাহ তাআলার রাগ থেকে রক্ষা পাওয়ার তিনটি উপায় রয়েছে
>> গোপনে সদকা করা,
>> আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে চলা,
>> মানুষের উপর রাগ করা থেকে বিরত থাকা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ উপদেশগুলোকে পরিপূর্ণভাবে মেনে স্বার্থক জীবন গঠন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর