ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

রোজা : যে কারণে কাযা আদায় করতে হবে

প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ১৩ জুন ২০১৬

রমজানের রোজা রাখা ফরজ। অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো কাজে রোজা ভেঙে গেলে তা রমজানের পরে কাযা আদায় করতে হবে। যে সব কারণে রোজার কাযা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হবে তা ইতিপূর্বে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে রোজা কাযার বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো-

>> অযু বা গোসলের সময় রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভেতর পানি চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। সে ক্ষেত্রে রোজার কাযা করতে হবে।

>> রোজা অবস্থায় হায়েয বা নেফাস শুরু হলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। পরে তা কাযা করতে হবে। আবার যে হায়েযা (ঋতুস্রাবী) মহিলা সুবহে সাদিকের পর পবিত্র হয়েছে তার সম্পর্কে ইবরাহিম নাখঈ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, সে আহার করা থেকে বিরত থাকবে যাতে (রমযানের দিবসে পানাহারের কারণে) অমুসলিমদের সাথে সাদৃশ্য সৃষ্টি না হয়।

>> মাথার এমন যখমে ওষুধ লাগালে রোজা ভেঙ্গে যাবে, যা দিয়ে ওষুধ মস্তিষ্কে চলে যায়। একান্ত প্রয়োজনে এমন স্থানে ওষুধ লাগালে পরবর্তীতে রোজা কাযা করে নিতে হবে।

>> পেটের ভেতরে ওষুধ লাগালে যদি তা পেটের ভেতরে চলে যায় তবে রোজা ভেঙে যাবে। একান্ত প্রয়োজনে এমন ক্ষতে ওষুধ লাগালে রোজার কাযা করে নিতে হবে।

>> নাকে ওষুধ বা পানি দিলে তা যদি খাদ্যনালিতে চলে যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং রোজা কাযা করতে হবে।

>> পায়খানার রাস্তার ভেতরে ওষুধ বা পানি ইত্যাদি গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। সে ক্ষেত্রে রোজা কাযা করে নিতে হবে।

>> সুবহে সাদিকের পর সেহরির সময় আছে ভেবে পানাহার বা স্ত্রীসঙ্গম করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তেমনি ইফতারির সময় হয়ে গেছে ভেবে সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করে নিলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।

>> রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করায় রোজা নষ্ট হয়ে গেছে ভেবে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে; সে ক্ষেত্রে রোজা কাযা করা জরুরি হবে।

>> বমি হওয়ার কারণে রোজা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোজা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।

আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মুসলিম উম্মাহকে বিশেষ খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

আরও পড়ুন