বিশ্বনবি যা দিয়ে ইফতার করতেন
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নাত। আর খেজুর দিয়ে ইফতার করা মোস্তাহাব। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, খালি পেটে মিষ্টি বস্তু পাকস্থলীর জন্যে খুবই ফলপ্রসূ। আর পানিকে পবিত্রকারী বলা হয়েছে। কেননা পানি দ্বারা যেমনি বাহ্যিক পবিত্রতা অবলম্বন করা হয় অনুরূপভাবে পানি দ্বারা ইফতারে আত্মিক পবিত্রতাও হাসিল হয়। ইফতার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাগরিবের নামাজের পূর্বেই কয়েকটি তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর না থাকতো তবে কয়েকটি শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি শুকনা খেজুরও না থাকতো তবে কয়েক ঢোঁক পানি দ্বারা (ইফতার করতেন)। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)
অন্য হাদিসে এসেছে- হজরত সালমান ইবনে আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে, সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। কেননা, তাতে বরকত (কল্যাণ) রয়েছে। (বরকতের কথা শুধুমাত্র তিরমিজিতে এসেছে) আর যদি খেজুর না পাওয়া যায়, তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে। কেননা তা পবিত্রকারী। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, দারিমি, মিশকাত)
উল্লেখিত দু’টি হাদিস থেকেই বুঝা যায়, যে খেজুর দ্বারা ইফতারে প্রভূত কল্যাণ রয়েছে। খেজুর না পাওয়া গেলে পানি দ্বারা ইফতারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দামের খেজুর পাওয়া যায়। যা দ্বারা ইফতারের কল্যাণ লাভ করা সম্ভব।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পন্থা অবলম্বন করে খেজুর অথবা পানি দ্বারা ইফতার করা। খেজুর এবং পানি দ্বারা ইফতার করলে শারীরিক এবং আত্মিক কল্যাণ লাভ হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিখানো পদ্ধতিতে খেজুর বা পানি দ্বারা ইফতার করে বিশ্বনবির ভালোবাসা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস