ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

নতুন পোশাক পরিধান করে যে দোয়া পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

পোশাক আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। লজ্জাস্থান আবৃত রাখা, ঠাণ্ডা ও গরমের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য পোশাক মানুষের মৌলিক চাহিদা। সুন্দর ও পরিপাটি থাকার জন্যও উত্তম পোশাকের প্রয়োজন হয়। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ قَدۡ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡكُمۡ لِبَاسًا یُّوَارِیۡ سَوۡاٰتِكُمۡ وَ رِیۡشًا وَ لِبَاسُ التَّقۡوٰی ۙ ذٰلِكَ خَیۡرٌ ذٰلِكَ مِنۡ اٰیٰتِ اللّٰهِ لَعَلَّهُمۡ یَذَّكَّرُوۡنَ

হে বনি আদম, আমি তো তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্যস্বরূপ। আর তাকওয়ার পোশাক, তা উত্তম। এগুলো আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত। যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (সুরা আরাফ: ২৬)

তাই পোশাক পরিধানের জন্য আল্লাহ তাআলার দান ও অনুগ্রহের জন্য তার শোকর আদায় করা উচিত। বিশেষত কেউ যখন নতুন পোশাক পরিধান করে, তখন বিশেষভাবে আল্লাহর শোকর আদায় করা উচিত। হাদিসে নতুন পোশাক পরিধানের পর আল্লাহর শোকর সম্বলিত এ দোয়াটি পাঠ করার বিশেষ পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে:

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلَا قُوَّةٍ

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী হাযা ওয়া রাযাকানীহি মিন গয়রি হাওলিম্ মিন্নী ওয়ালা ক্যুওয়াহ্

অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এ পোশাকটি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার কৌশল ও ক্ষমতা ছাড়াই আমাকে তা দান করেছেন।

মুআজ ইবনে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

যে ব্যক্তি নতুন পেশাক পরিধান করে এ দোয়া পাঠ করে, তার আগের ও পরের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৪০২৩)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা। প্রতিনিয়ত আমরা তার নেয়ামত ভোগ করছি। আল্লাহ তাআলা চান বান্দা তার এই অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুক। মুখে তার প্রশংসা করুক, তার দয়া স্বীকার করুক, কাজেও তার বিধান ও নির্দেশনার আনুগত্য করুক।

আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করলে তার নির্দেশ অনুযায়ী জাকাত দেওয়া, সদকা দেওয়া আল্লাহর তাআলার শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায়ের অন্তর্ভুক্ত। নিজের পোশাক বেশি থাকলে কিছু পোশাক অন্যকে দান করে দেওয়া বা অপ্রয়োজনীয় পোশাক কেনার বদলে অভাবীদের পোশাক কিনে দেওয়াও আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সুস্থ থাকলে নামাজ পড়া ও রোজা রাখাও আল্লাহর তাআলার শুকরিয়া আদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

আল্লাহ তাআলার নেয়ামত পেয়ে তা নিজের কৃতিত্ব বলে জাহির করা, দম্ভ ও অহংকার করা, ওই নেয়ামতের হক আদায় না করা আল্লাহ তাআলার না-শোকরি বা অকৃতজ্ঞতা গণ্য হয়।

বান্দা শুকরিয়া আদায় করলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেন, আর বান্দা যদি অকৃতজ্ঞ হয়, তাহলে আল্লাহ শাস্তি হিসেবে নেয়ামত উঠিয়ে নেন। কোরআনে শোকর আদায় করলে নেয়ামত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও অকৃতজ্ঞতার জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ বলেন,

لَئِنۡ شَكَرۡتُمۡ لَاَزِیۡدَنَّكُمۡ وَ لَئِنۡ كَفَرۡتُمۡ اِنَّ عَذَابِیۡ لَشَدِیۡدٌ

তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা আদায় কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অস্বীকার করো, তাহলে আমার আজাব অবশ্যই কঠিন। (সুরা ইবরাহিম: ৭)

ওএফএফ/এএসএম

আরও পড়ুন