কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা যাবে কি?
শীতকালে অনেকেই কানটুপি পরে যা দিয়ে সাধারণত কপাল ঢেকে থাকে। এ অবস্থায় কেউ যদি নামাজে দাঁড়ায় এবং কানটুপির ওপর সিজদা করে, তার সিজদা আদায় হবে বটে, তবে এটা অনুত্তম কাজ।
সিজদার সময় টুপি, পাগড়ি বা এ রকম যে কোনো কিছু দিয়ে কপাল আবৃত থাকা অপছন্দনীয়। তাবেঈ আলেম নাফের (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) পাগড়ি কপাল থেকে না সরিয়ে তার ওপর সিজদা করা অপছন্দ করতেন। (আল-আওসাত: ৩/৩৪৩)
কিছু কানটুপিতে গলা ও নাকমুখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থাও থাকে। নামাজে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই স্বাভাবিক অবস্থায় চেহারা খোলা রেখে নামাজ আদায় করা উচিত। চেহারা ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঁধের দুই পাশে কাপড় ঝুলিয়ে নামাজ আদায় করতে এবং নামাজের সময় মুখ ঢাকতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৬৪৩)
তাই নামাজের আগে কপাল বা চেহারা ঢেকে থাকা কানটুপি খুলে রাখা উচিত।
তবে কেউ কপাল আবৃত থাকা অবস্থায় সিজদা করলেও নামাজ হয়ে যাবে। একইভাবে বিশেষ অসুবিধা ছাড়া চেহারা ঢেকে নামাজ আদায় করলে মাকরুহ হলেও নামাজ হয়ে যাবে। পুনরায় পড়তে হবে না। আর শরিয়তে গ্রহণযোগ্য কোনো ওজর বা অসুবিধা থাকলে চেহারা ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহও হবে না। যেমন কেউ যদি সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত থাকে এবং জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে পাশের মুসল্লির অসুবিধা হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করতে পারে। তবে শুধু শীত থেকে বাঁচার জন্য নাক-মুখ ঢেকে নামাজে দাঁড়ানো অনুচিত। শীতের কাপড় শরীর, কান ও গলায় থাকতে পারে, নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
ওএফএফ/জেআইএম