নামাজে দোয়া মাসুরার অনুবাদ পড়া যাবে কি?
নামাজে নিজের মাতৃভাষায় বা অন্য যে কোনো ভাষায় মানুষের রচিত দোয়া করা যাবে না। দোয়া মাসুরা বা কোরআন হাদিসে বর্ণিত কোনো দোয়ার অনুবাদও নামাজে পড়া যাবে না। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের কথা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নামাজ মানুষের কথাবার্তা বলার ক্ষেত্র নয়। এটা শুধু তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের জন্য সুনির্দিষ্ট। (সহিহ মুসলিম)
তাই নামাজে শুধু কোরআন হাদিসে বর্ণিত আরবি দোয়া করা যাবে। ফরজ বা নফল নামাজের শেষ বৈঠকে দরুদ পড়ার পর দোয়া মাসুরা বা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত রয়েছে এমন কোনো দোয়া পড়া মুস্তাহাব। কেউ চাইলে দরুদ পড়ার পর এ রকম একাধিক দোয়াও পড়তে পারে। এ দোয়া কোরআন-হাদিসে যেভাবে এসেছে সেভাবে আরবিতে পড়া জরুরি। অন্য ভাষায় পড়া মাকরুহ তাহরিমি। দোয়া মাসুরা পড়ার সময় বড় দোয়া পড়তে না পারলে ছোট কোনো দোয়া পড়বে।
ফরজ নামাজের সিজদায় নির্ধারিত তাসবিহ ছাড়া অন্য দোয়া করা নিষিদ্ধ। তবে নফল নামাজের সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া করা জায়েজ। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নফল নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।
অর্থ: হে আল্লাহ আমার সূক্ষ্ম, স্থুল, শুরু ও শেষের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। (তাহাবি)
নামাজের যে কোনো অংশে দুনিয়াবি দোয়া অর্থাৎ মানুষের কাছেও পাওয়া যায় এমন কিছু প্রার্থনা করলে নামাজ ভেঙে যাবে। যেমন কেউ দোয়া করলো হে আল্লাহ আমাকে এক লক্ষ টাকা পাইয়ে দিন, চাকুরি বা বিয়ের ব্যবস্থা করে দিন ইত্যাদি।
ওএফএফ/জিকেএস