আল্লাহর শোকর করে যে দোয়া পড়বেন
আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ তাআলার কাছে শোকর বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ দোয়াটি পড়তে বলেছেন,
اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ
উচ্চারণ: আল্লহুম্মা মা আস্বাহা বী মিন্ নি’মাতিন আও বিআহাদিম মিন খলকিকা ফামিনকা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্দু ওয়ালাকাশ্ শুকরু
অর্থ: হে আল্লাহ! ভোরে আমার কাছে ও আপনার অন্য যে কোনো সৃষ্টির কাছে যে নেয়ামত পৌঁছেছে তা এক আপনার পক্ষ থেকেই, এতে আপনার কোনো শরিক নেই। সুতরাং আপনারই প্রশংসা ও আপনারই কৃতজ্ঞতা।
আবদুল্লাহ ইবনে গন্নাম (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ভোরে (ঘুম থেকে) উঠে এ দোয়া পড়লো, সে ওই দিনের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। আর যে সন্ধ্যায় এ দোয়া পড়লো, সে ওই রাতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো। (সুনানে আবু দাউদ: ৫০৭৩)
আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা। প্রতিনিয়ত আমরা তার নেয়ামত ভোগ করছি। আল্লাহ তাআলা চান বান্দা তার এই অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুক। মুখে তার প্রশংসা করুক, তার দয়া স্বীকার করুক, কাজেও তার বিধান ও নির্দেশনার আনুগত্য করুক। আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করলে তার নির্দেশ অনুযায়ী জাকাত দেওয়া, সদকা দেওয়া আল্লাহর তাআলার শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা আদায়ের অন্তর্ভুক্ত। সুস্থ থাকলে নামাজ পড়া ও রোজা রাখাও আল্লাহর তাআলার শুকরিয়া আদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ তাআলার নেয়ামত পেয়ে তা নিজের কৃতিত্ব বলে জাহির করা, দম্ভ ও অহংকার করা, ওই নেয়ামতের হক আদায় না করা আল্লাহ তাআলার না-শোকরি বা অকৃতজ্ঞতা গণ্য হয়।
বান্দা শুকরিয়া আদায় করলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত বৃদ্ধি করে দেন, আর বান্দা যদি অকৃতজ্ঞ হয়, তাহলে আল্লাহ শাস্তি হিসেবে নেয়ামত উঠিয়ে নেন। কোরআনে শোকর আদায় করলে নেয়ামত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও অকৃতজ্ঞতার জন্য কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ বলেন, তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা আদায় কর তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অস্বীকার করো, তাহলে আমার আজাব অবশ্যই কঠিন। (সুরা ইবরাহিম: ৭)
ওএফএফ/জেআইএম