ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জুমার খুতবার সময় দরুদ পাঠ করা যাবে কি?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

খুতবার শাব্দিক অর্থ বক্তৃতা বা বক্তব্য দেওয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় খুতবা এমন বক্তৃতা, যাতে আল্লাহর প্রশংসা, তার একত্ববাদের ঘোষণা, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দরুদ এবং উপস্থিত সাধারণের প্রতি উপদেশ বিদ্যমান থাকে।

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর কুবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে তিনি নিজেই ইমামতি করেন। এ দিন জুমার নামাজের আগে তিনি দুটি খুতবা প্রদান করেন। তখন থেকেই শুক্রবারে জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে।

জুমার খুতবা জুমার নামাজের অংশ। যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় মুসল্লিদের চুপ থাকা ওয়াজিব। এ সময় সকল প্রকার কথাবার্তা এমনকি জিকির থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ রয়েছে।

রাসুল (সা.) খুতবার সময় চুপ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, চুপ কর, তাহলেও তুমি অনর্থক কথা বললে। (সহিহ বুখারি)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব: জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং ইসতিসকার খুতবার সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৫৬৪২)

তাই জুমার খুতবার সময় যে কোনো কথা, জিকির এবং দরুদ পাঠ থেকেও বিরত থাকতে হবে। খুতবা চলাকালে আল্লাহর রাসুলের (সা.) নাম এলেও মুখে উচ্চারণ করে দরুদ পড়া যাবে না। কেউ চাইলে মনে মনে দরুদ পড়ে নিতে পারে।

জুমার দিন অন্যান্য সময় বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উচিত। হাদিসে জুমার দিন বিশেষভাবে দরুদ পড়ার করার নির্দেশ এসেছে। আওস ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তার ওফাত হয়। এ দিনই দ্বিতীয় বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং এ দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। তাই তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পড়। তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হবে। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! কিভাবে আমাদের দরুদ আপনার কাছে পেশ করা হবে। আপনি তো (এক সময়) মৃত্যু বরণ করবেন, আপনার শরীর মাটির সাথে মিশে যাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা জমিনের জন্য নবিগণের শরীর গ্রাস করা হারাম করে দিয়েছেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭৭)

ওএফএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন