ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জানাজায় লাশ উল্টো শোয়ানো থাকলে জানাজা হবে কি?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

মুসলমান মৃতের জন্য জানাজা পড়া ফরজে কেফায়া বা মুসলমান সমাজের আবশ্যকীয় কর্তব্য অর্থাৎ কয়েকজন জানাজা পড়লে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কেউ না পড়লে সবাই গুনাহগার হবে।

এক মুসলামানের ওপর আরেক মুসলমানের একটি হক হলো সে তার জানাজার নামাজ আদায় করবে, তাকে সমাহিত করবে। রাসুল (সা.) বলেন,

حَقُّ المُسْلِمِ عَلَى المُسْلِمِ خَمْسٌ: رَدُّ السَّلاَمِ، وَعِيَادَةُ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعُ الجَنَائِزِ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ، وَتَشْمِيتُ العَاطِسِ

এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)

জানাজার নামাজে ইমাম মৃতের বুক বরাবর দাঁড়াবে। ইমামের পেছনে মুক্তাদিদের কাতার হবে। জানাজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তির লাশ ইমামের সামনে থাকা জরুরি ৷ ইমামের সামনে লাশ উত্তরমুখী করে রাখা সুন্নত ৷ তবে তা অপরিহার্য নয়। ভুল করে কারো লাশ যদি জানাজার নামাজের সময় উল্টো করে অর্থাৎ দক্ষিণমুখী করে শোয়ানো থাকে, তাহলে তা সুন্নতের খেলাফ হলেও জানাজার নামাজ হয়ে যাবে।

জানাজা আদায়ের পদ্ধতি

জানাজার নামাজে দাঁড়িয়ে প্রথম মনে মনে জানাজা আদায়ের নিয়ত করতে হবে। তারপর ইমামের অনুসরণ করে কান পর্যন্ত হাত ওঠাবে এবং তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবর) বলতে হবে। তারপর সানা পড়তে হবে।

তারপর দ্বিতীয় তাকবির বলে দরুদে ইবরাহিম পাঠ করতে হবে। এই তাকবিরে হাত ওঠানোর প্রয়েজন নেই। তারপর হাত না উঠিয়ে তৃতীয় তাকবির বলে ‍মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করবেন। তারপর হাত না উঠিয়ে চতুর্থ তাকবির বলে ডান ও বাঁ দিকে সালাম ফেরাবেন।

জানাজায় ইমাম তাকবির উচ্চৈস্বরে বলবেন এবং বাকি দোয়া-দরুদ অনুচ্চ স্বরে পড়বেন। মুক্তাদিরা সবই অনুচ্চ স্বরে তাকবির ও দোয়া-দরুদ পড়বেন।

জানাজায় তৃতীয় তাকবিরের পর যে দোয়া পড়বেন

মৃত ব্যক্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারী হয় তবে জানাজার নামাজের তৃতীয় তাকবিরের পর এই দোয়া পড়ুন:

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আঝরাহু ওয়া লা তুদিল্লানা বাদাহু।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃতদের, উপস্থিত ও অনুপস্থিতদের, ছোট ও বড়দের এবং আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাকে জীবিত রাখবেন তাকে ইসলামের ওপরই জীবিত রাখুন। যাকে মৃত্যু দান করবেন তাকে ঈমানের সাঙ্গেই মৃত্যু দিন। হে আল্লাহ! এর সাওয়াব থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করবেন না এবং এর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করবেন না।

কোনো শিশুর জানাজা পড়ার সময় তৃতীয় তাকবিরের পর এই দোয়া পড়ুন: তবে এই দোয়া পড়ুন:

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاً وَّاجْعَلْهُ لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا شَفِيْعًا وَّمُشَفَّعًا

উচ্চারণ: আল্লহুম্মা-জআলহু লানা সালাফান ওয়া ফারাত্বান ওয়া যুখরান ওয়া আজরান আল্লাহুম্মা-জআলহু লানা শাফীআন ওয়া মুশাফফাআ

অর্থ: হে আল্লাহ! এ শিশুটিকে আমাদের অগ্রবর্তী ব্যবস্থাপক, রক্ষিত ভান্ডার ও সাওয়াবের কারণ বানান এবং তাকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী বানান, যা আপনার দরবারে কবুল হয়।

ওএফএফ/এএসএম

আরও পড়ুন