ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

পৈতৃক সম্পত্তিতে তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার নিয়ে যা বললেন জাকির নায়েক

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৪

ইসলামি আইনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা তাদের ডমিন্যান্ট সেক্স বা প্রবল লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পৈতৃক সম্পত্তি পাবে বলে জানিয়েছেন ইসলাম প্রচারক ও আলোচক ডা. জাকির নায়েক।

সম্প্রতি পাকিস্তানে এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে শ্রোতার প্রশ্নের জবাবে পৈতৃক সম্পত্তিতে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন জাকির নায়েক। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কিত আলোচনার ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

ডা. জাকির নায়েক বলেন, প্রত্যেক শিশু তার লিঙ্গপরিচয় নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। কিছু মানুষের জন্মগত ত্রুটি থাকে যে কারণে স্বাভাবিকভাবে তাদের লিঙ্গপরিচয় শণাক্ত করা কঠিন হয়। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরও ডমিন্যান্ট সেক্স বা প্রবল লৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্য জানা সম্ভব। সে অনুযায়ী তৃতীয় লিঙ্গের যে ব্যক্তির ডমিন্যান্ট সেক্স মেল, সে ছেলে হিসেবে অন্য ছেলেদের মতোই তার পিতার সম্পদে অংশ পাবে। তৃতীয় লিঙ্গের যে ব্যক্তির ডমিন্যান্ট সেক্স ফিমেল, সে একজন মেয়ে হিসেবে অন্য মেয়েদের মতোই পিতার সম্পদে অংশ পাবে।

ট্রান্সজেন্ডার আর তৃতীয় লিঙ্গ এক নয় এবং লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা ইসলামে হারাম আলোচনায় তাও স্পষ্ট করেন ডা. জাকির নায়েক। তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডার হলো যারা তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। ছেলে হয়ে জন্মগ্রহণ করার পর মেয়ে হতে চায়, মেয়ে হয়ে জন্মগ্রহণ করার পর ছেলে হওয়ার চেষ্টা করে। ইসলামে এ রকম লিঙ্গ পরিবর্তন করার বৈধতা নেই।

পাকিস্তান সরকারের আমন্ত্রণে এক মাসের সফরে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন সুপরিচিত ইসলাম প্রচারক ও আলোচক ডা. জাকির নায়েক। এ সময় তিনি দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে নানা ধর্মীয় আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। অনুষ্ঠানগুলোতে শ্রোতারা তাকে সরাসরি প্রশ্ন করার ‍সুযোগ পাচ্ছেন।

নিজ দেশ ভারতে আইনি জটিলতার কারণে ২০১৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন জাকির নায়েক। ওই বছর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক সন্ত্রাসী হামলা হয়। ওই হামলায় জড়িত এক সন্ত্রাসী ইউটিউবে জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) এই ইসলাম প্রচারকের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির (বর্তমানে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করে।

ওএফএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন