মসজিদের তহবিল থেকে ঋণ নেওয়া কি জায়েজ?
মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য যে চাঁদা ও দান সংগ্রহ করা হয়, তা সাধারণত মসজিদের ক্যাশিয়ার বা মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তির কাছে গচ্ছিত থাকে। এই অর্থ তার কাছে আমানত হিসেবে থাকে। তিনি নিজের প্রয়োজনে ওই অর্থ খরচ করতে পারবেন না। ওই অর্থ থেকে ঋণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন না।
মসজিদের ক্যাশিয়ার যদি তার কাছে গচ্ছিত মসজিদের অর্থ থেকে কিছু টাকা পরে ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়তে ঋণ হিসেবে নেন, তাহলে তা জায়েজ হবে না। যেহেতু আমানত হিসেবে গচ্ছিত অর্থ থেকে ঋণ গ্রহণ করা নাজায়েজ।
তাই কেউ না জেনে এ রকম ঋণ নিয়ে থাকলে ওই টাকা দ্রুত ফান্ডে জমা করা এবং এই কাজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা কর্তব্য।
উল্লেখ্য যে, মসজিদের উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ দান করা, মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে সাহায্য করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। কোরআনে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা মসজিদকে নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে মসজিদ নির্মাণ ও আবাদকারীদের নেক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেন,
اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ
একমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ইমান রাখে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারা হিদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সুরা বাকারা: ১৮)
নবি ইবরাহিমকে (আ.) মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার কথা বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَ اِذۡ بَوَّاۡنَا لِاِبۡرٰهِیۡمَ مَکَانَ الۡبَیۡتِ اَنۡ لَّا تُشۡرِکۡ بِیۡ شَیۡئًا وَّ طَهِّرۡ بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡقَآئِمِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ
আর স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহিমকে সে ঘরের (বায়তুল্লাহ) স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম এবং বলেছিলাম, আমার সাথে কাউকে শরিক করবে না এবং আমার ঘরকে পাক সাফ রাখবে তাওয়াফকারী, রুকু-সিজদা ও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীদের জন্য। (সুরা হজ: ২৬)
ওএফএফ/জেআইএম