ওমরাহর সময় সেলাই করা লুঙ্গি পরিধান করা যাবে কি?
হজ ও ওমরাহর গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ইহরাম। নির্দিষ্ট স্থান থেকে হজ ও ওমরাহর নিয়তে নির্ধারিত নিয়মে ইহরাম বাঁধতে হয়। ইহরাম পরিধানের পর বৈধ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায়। এগুলোর একটি হলো সেলাইকৃত পোশাক। সাধারণ অবস্থায় সেলাইকৃত পোশাক স্বাভাবিক ও বৈধ হলেও ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য সেলাইকৃত পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ। সালেম (রহ.) তার বাবা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لاَ يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ الْقَمِيصَ وَلاَ الْعِمَامَةَ وَلاَ الْبُرْنُسَ وَلاَ السَّرَاوِيلَ وَلاَ ثَوْبًا مَسَّهُ وَرْسٌ وَلاَ زَعْفَرَانٌ وَلاَ الْخُفَّيْنِ إِلاَّ أَنْ لاَ يَجِدَ نَعْلَيْنِ فَلْيَقْطَعْهُمَا حَتَّى يَكُونَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ
মুহরিম ব্যাক্তি জামা, পাগড়ি, টুপি, পায়জামা, জাফরান বা ওয়ার্স দ্বারা রঞ্জিত কাপড় এবং মোজা পরিধান করবে না। কিন্তু চপ্পল না পেলে সে টাখনুর নীচ থেকে মোজা কেটে তা পরিধান করতে পারবে। (সহিহ মুসলিম: ২৬৬৩)
ইহরাম অবস্থায় পুরুষের জন্য শরীরের কোন অঙ্গের আকৃতিতে সেলাই করা সব ধরনের পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ যেমন পাঞ্জাবি, জুব্বা, ফতুয়া, শার্ট, পায়জামা, প্যান্ট, গেঞ্জি, কোট, সুয়েটার, হাতমোজা, টুপি ইত্যাদি।
লুঙ্গি যেহেতু পায়জামার মত কোনো অঙ্গের আকৃতিতে বানানো নয়, তাই হজ বা ওমরাহর সময় ইহরাম অবস্থায় সেলাইযুক্ত লুঙ্গি পরা নাজায়েজ নয়। তবে যেহেতু ইহরামের কাপড় একেবারে সেলাইবিহীন হওয়া উত্তম, তাই যারা সেলাইমুক্ত চাদর পরে সামলাতে পারেন, সেলাইবিহীন চাদর পরলে যাদের সতরের অঙ্গগুলো বা তার অংশবিশেষ খুলে যাওয়ার আশংকা নেই, তাদের জন্য সেলাইযুক্ত লুঙ্গি না পরা উত্তম।
কিন্তু সেলাইবিহীন চাদর পরলে কারো যদি সতর খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে তাহলে তার জন্য সেলাইকৃত লুঙ্গি ব্যবহার করা অনুত্তম হবে না।
ওএফএফ/এএসএম