জানাজার ইমামের ব্যাপারে মৃতের অসিয়ত থাকলে করণীয়
কেউ যদি মৃত্যুর আগে নিজের জানাজার নামাজের ইমাম কে হবেন সে ব্যাপারে অসিয়ত করে, তাহলে মৃত্যুর পর তার অভিভাবক বা দায়িত্বশীলরা ভালো মনে করলে ওই অসিয়ত পূর্ণ করতে পারেন। সাহাবি-তাবেঈদের অনেকে নিজের জানাজা পড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কাউকে অসিয়ত করে গেছেন এবং পরবর্তীতে তাদের অভিভাবকরা তা পূর্ণও করেছেন।
যেমন বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা (রা.) অসিয়ত করে গিয়েছিলেন তারা জানাজা যেন তাবেঈ সাইদ ইবনে জুবায়ের (রহ.) পড়ান। যদিও তিনি তার অভিভাবক, আমির বা মাহরাম ছিলেন না। (মুসতাদরাকে হাকেম) হুজাইফা ইবনে উসাইদ (রা.) অসিয়ত করেছিলেন তার জানাজা যেন জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) পড়ান। তার মৃত্যুর পর কুফার তৎকালীন আমির জানাজা পড়াতে এলে তার ছেলে এ অসিয়তের ব্যাপারে তাকে জানান। তখন তিনি জায়েদ ইবনে আরকামকেই জানাজা পড়ানোর জন্য এগিয়ে দেন। (আল আওসাত ফিস সুনান)
তবে এ রকম অসিয়ত পূর্ণ করা জরুরি নয়। মৃত ব্যক্তির ওলি বা অভিভাবক নিজে অথবা তার অনুমতিক্রমে অন্য কেউ জনাজার নামাজ পড়ালেও তা শুদ্ধ হবে।
মুসলমান মৃতের জন্য জানাজা পড়া ফরজে কেফায়া বা মুসলমান সমাজের আবশ্যকীয় কর্তব্য অর্থাৎ কয়েকজন জানাজা পড়লে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে, কেউ না পড়লে সবাই গুনাহগার হবে।
এক মুসলমানের ওপর আরেক মুসলমানের একটি হক হলো সে তার জানাজার নামাজ আদায় করবে, তাকে সমাহিত করবে। রাসুল (সা.) বলেন, এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের হক পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, তার জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং তার হাঁচির জবাব দেওয়া। (সহিহ বুখারি: ১২৪০, সহিহ মুসলিম: ২১৬২)
ওএফএফ/জেআইএম