শরীরে উল্কি আঁকার বিধান
ইসলাম নারী-পুরুষের স্বাভাবিক রূপচর্চা অনুমোদন করে। স্বাভাবিকভাবে সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়ার চেষ্টা করা, সুন্দর পোশাক-আশাক পরা জায়েজ তো বটেই, উত্তম কাজ বিবেচিত হয়। নামাজের সময় পরিপাটি হওয়ার ও সুন্দর পোশাক-আশাক পরার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
یٰبَنِیۡۤ اٰدَمَ خُذُوۡا زِیۡنَتَكُمۡ عِنۡدَ كُلِّ مَسۡجِدٍ وَّ كُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا وَ لَا تُسۡرِفُوۡا اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ
হে আদম সন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা গ্রহণ কর, আর খাও এবং পান কর। তবে অপব্যয় করবেনা, নিশ্চয়ই আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালবাসেননা। (সুরা আ’রাফ: ৩১)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যার অন্তরে এক বিন্দু অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসুল! সবাই তো এটা পছন্দ করে যে, তার পোশাক ভালো হোক, জুতো জোড়া ভালো হোক, এসব কি অহংকারের মধ্যে পড়ে? রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,
إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى جَمِيلٌ يُحِبُّ الْجَمَالَ الْكِبَرُ بَطَرُ الْحَقِّ وَغَمْطُ النَّاس
আল্লাহ তাআলা নিজেও সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দও করেন। আর অহংকার হলো হককে বাতিল করা এবং মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা। (সহিহ মুসলিম: ১৪৭)
কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি করা স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা যেমন দাঁত কেটে সরু করা, ভ্রু তুলে ফেলা, শরীরে উল্কি বা ট্যাটু আঁকা ইসলামে হারাম। রাসুল (সা.) এ সব রূপচর্চাকে আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি গণ্য করে এগুলো যারা করে তাদের অভিশপ্ত বলেছেন। রাসুল (সা.) বলেন,
لَعَنَ اللَّهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوتَشِمَاتِ وَالْمُتَنَمِّصَاتِ وَالْمُتَفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللَّ
আল্লাহ ওইসব নারীকে লানত করেছেন, যারা উল্কি অঙ্কন করে বা করায়, যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রূ উপড়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে; এরা আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটিয়েছে। (সহিহ বুখারি: ৪৮৮৬)
তাই এ ধরনের কাজ থেকে আমাদের সবার বিরত থাকা কর্তব্য।
ওএফএফ/জিকেএস