মুসলমান গুনাহগার ব্যক্তির যে পরিণতি হবে
যেসব মুসলমান কুফর ও শিরকে লিপ্ত হয়নি কিন্তু ইসলামের বিধি-নিষেধ পুরোপুরি মেনে চলেনি এবং গুনাহ থেকে তওবা না করেই মৃত্যুবরণ করেছে, তাদেরকে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দিতে পারেন, শাস্তিও দিতে পারেন। তবে তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। এক সময় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করে জান্নাত দান করবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। (সুরা নিসা : ৪৮)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
أتاني آت من رَبِّي، فَأَخْبَرَنِي ـ أَوْ قَالَ: بَشَّرَنِي ـ أَنَّهُ: مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الجَنَّةَ
আমার রবের কাছ থেকে এসে আমাকে খবর দিলেন অথবা তিনি বলেছিলেন, আমাকে সুসংবাদ দিলেন, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যাক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে দাখিল হবে। (সহিহ বুখারি: ১১৬৫)
তবে যারা শিরকি ও কুফরি কথা ও কাজে ডুবে থাকে, তারা নামে মুসলমান হলেও মূলত কাফের। শিরকে লিপ্ত হলে কেউ আর মুসলমান থাকে না। এই অবস্থায় যদি তার মৃত্যু হয়, তাহলে নামে মুসলমান হলেও তার জন্য জান্নাত হারাম, জাহান্নাম অবধারিত এবং সে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
اِنَّ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ مَاتُوْا وَ هُمْ كُفَّارٌ اُولٰٓىِٕكَ عَلَیْهِمْ لَعْنَةُ اللهِ وَ الْمَلٰٓىِٕكَةِ وَ النَّاسِ اَجْمَعِیْنَ،خٰلِدِیْنَ فِیْهَا لَا یُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَ لَا هُمْ یُنْظَرُوْنَ.
যারা কাফের এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করেছে তাদের ওপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও মানুষ সকলের লানত। তাতে ওরা চিরকাল থাকবে। তাদের থেকে শাস্তি লাঘব করা হবে না এবং তাদের কোনো সুযোগও দেওয়া হবে না। (সুরা বাকারা: ১৬১-১৬২)
ওএফএফ/জেআইএম