তাওয়াফের সময় উচ্চৈঃস্বরে দোয়া পড়ার বিধান
তাওয়াফ শব্দের অর্থ ঘোরা বা প্রদক্ষিণ করা। পরিভাষায় তাওয়াফের নিয়ত করে পবিত্র কাবার চারপাশে সাতবার ঘোরাকে তাওয়াফ বলা হয়। তাওয়াফ হজ ও ওমরাহর অপরিহার্য আমল। ওমরাহর সময় পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা ফরজ। হজের সময় তাওয়াফে জিয়ারত করা ফরজ।
তাওয়াফের সময় জিকির করা, বিভিন্ন দোয়া পাঠ করা উত্তম যেভাবে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তার সাহাবিরা করতেন। এসব দোয়া সাধারণ স্বরে বা নিম্নস্বরে পাঠ করতে হবে। তাওয়াফের সময় অতি উচ্চৈঃস্বরে বা দলবদ্ধ হয়ে সমস্বরে দোয়া পাঠ করা ঠিক নয়। এটি সুন্নত পরিপন্থি কাজ। নবিজি ও সাহাবিরা তাওয়াফের সময় এভাবে দোয়া পাঠ করতেন না।
এছাড়া এতে অন্য তাওয়াফকারীদের একাগ্রতাও নষ্ট হয়। তাওয়াফ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ সময় একগ্রতা ও মগ্নতার সাথে থাকা উচিত।
তাওয়াফের সময় যে কোনো দোয়া পড়া যায়। তাওয়াফের এমন কোনো নির্দিষ্ট দোয়া নেই যা না পড়লে তাওয়াফ শুদ্ধ হবে না। হাদিসে কয়েকটি দোয়া পাওয়া যায়, যা রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাওয়াফের সময় পড়েছেন।
রুকনে ইয়ামানি থেকে হাজরে আসওয়াদের দিকে যাওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরআনে উল্লেখিত এ দোয়াটি পড়েছেন বলে বর্ণিত রয়েছে:
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنۡیَا حَسَنَۃً وَّ فِی الۡاٰخِرَۃِ حَسَنَۃً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল-আখিরাতি হাসানাহ ওয়া কিনা আযাবান-নার
অর্থ: হে আমাদের রব, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দিন, আখেরাতেও কল্যাণ দিন এবং আগুনের আজাব থেকে রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা: ২০১) (সুনানে আবু দাউদ: ১/ ২৬০)
ওএফএফ/জিকেএস