ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

হাঁচি দিয়ে যেভাবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৪

হাঁচি দেওয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা মুস্তাহাব। হাদিসে হাঁচি দেওয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়া এবং তার জবাব দেওয়ার নির্দেশনা এসেছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا عَطسَ أحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: الحَمْدُ للهِ، وَلْيَقُلْ لَهُ أخُوهُ أَوْ صَاحِبُهُ: يَرْحَمُكَ الله، فإذَا قَالَ لَهُ: يَرْحَمُكَ اللهُ، فَلْيَقُلْ: يَهْدِيكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بالَكم
তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন সে যেন ‘আলহামদুলিল্লাহ’ (অর্থ: সব প্রশংসা আল্লাহর) বলে। এবং তার সাথে থাকা ব্যক্তি যেন উত্তরে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ (অর্থ: আল্লাহ আপনার ওপর দয়া করুন) বলে। যখন তার সাথে থাকা ব্যক্তি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে তখন হাঁচিদাতা উত্তরে বলবে ‘ইয়াহদিকুমুল্লাহু ওয়া ইউসলিহু বালাকুম’। (সহিহ বুখারি: ৬২২৪)

হাঁচি দেওয়ার পর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ নিম্নস্বরে নাকি উচ্চৈস্বরে পড়তে হবে এ রকম প্রশ্ন অনেকে করেন। এ প্রশ্নের উত্তর হলো, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ উচ্চৈস্বরে বলাই মুস্তাহাব, নিম্নস্বরে নয়। এ হাদিসের নির্দেশনা থেকে এটা বোঝা যায়। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ নিম্নস্বরে বললে হাঁচিদাতার সঙ্গীর পক্ষে তার জবাব দেওয়া সম্ভব হবে না।

সাহাবি-তাবেঈদের মধ্যেও হাঁচি দেওয়ার পর উচ্চৈস্বরে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলার প্রচলন ছিল। ইয়াহইয়া ইবনে আবি কাছির (রহ.) তার এক উস্তাদ থেকে বর্ণনা করেন, হাঁচিদাতার জন্য উচিত হলো, উচ্চৈস্বরে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা, যাতে করে আশপাশের লোকেরা তা শুনতে পায়। আর তার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলার পর শ্রোতাদের জন্য জরুরি হল ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক: ১৯৬৮০)

নামাজে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে কি নামাজ ভেঙে যাবে?
নামাজ পড়ার সময় নিজে হাঁচি দিয়ে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বললে নামাজ ভেঙে যাবে না। তবে ইচ্ছাকৃত এমনটি করা ঠিক নয়। নামাজে অন্যের হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বললে নামাজ ভেঙে যাবে। নামাজ অবস্থায় কারো সাথে কথা বলা বা কাউকে সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنّ هَذِهِ الصّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التّسْبِيحُ وَالتّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ.
নামাজে কারো সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। নামাজ শুধু তাসবিহ, তাকবি ও কুরআন তিলাওয়াত। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৩৭)

তাই নামাজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে কাউকে সম্বোধন করে কিছু বললে বা সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যাবে। শুধু নিজে শুনতে পায় এতটুকু নিচু আওয়াজে কথা বলে ফেললেও নামাজ ভেঙে যাবে।

কেউ যদি নামাজ আদায়রত ব্যক্তিকে সালাম দেয়, নামাজি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে সশব্দে অর্থাৎ মুখে সালামের উত্তর দিলে নামাজ ভেঙে যাবে।

ওএফএফ/এমএস

আরও পড়ুন