ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

হজের সফরের গুরুত্বপূর্ণ আমল মদিনা জিয়ারত

ওমর ফারুক ফেরদৌস | প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ২১ জুন ২০২৪

হজের সফরে গেলে মদিনায় যাওয়া, মসজিদে নববি ও নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবর জিয়ারত করা, নবিজিকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাম দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল। আল্লাহর রাসুল (সাাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে আমার ওফাতের পর হজ করলো অতঃপর আমার কবর জিয়ারত করতে এলো সে যেন আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করলো। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৫৫)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে আরও বর্ণিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আমার কবর জিয়ারত করলো তার জন্য আমার সুপারিশ আবশ্যক হয়ে গেল। (সুনানে দারাকুতনি: ১৯৪)

তাই যারা হজ পালন করতে যান, সুযোগ অনুযায়ী হজের আগে বা পরে অবশ্যই একবার মদিনায় যাবেন, নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবরে সালাত ও সালাম পেশ করবেন।

মদিনায় গেলে যে ৪ সুন্নত পালন করবেন

১. মসজিদে নববিতে বেশি বেশি নামাজ আদায় করুন

মসজিদে নববি ইসলামে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মসজিদ। মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করার সওয়াবও অন্যান্য মসজিদে নামাজ আদায়ের চেয়ে অনেক বেশি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম) বলেছেন, আমার এ মসজিদে এক নামাজ আদায় করা মসজিদে হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদে এক হাজার নামাজ আদায় করার চেয়েও উত্তম। (সুনানে ইবনে মাজা ১৪০৬, মুসনাদে আহমাদ: ১৪৬৯৪)

মসজিদে নববির একটি অংশকে হাদিসে ‘রওজাতুম মিন রিয়াজিল জান্নাহ’ বা জান্নাতের অন্যতম উদ্যান বলা হয়েছে। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

২. নবিজির (সা.) কবর জিয়ারত করুন

মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে বারবার নবিজির (সা.) কবর জিয়ারত করুন, নবিজির (সা.) দরবারে সালাম পেশ করুন। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে আমার ওফাতের পর হজ করলো অতঃপর আমার কবর জিয়ারত করতে আসলো সে যেন আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করলো। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৫৫)।

নবিজির (সা.) কবর জিয়ারতের সময় তার দুই সহচর আবু বকর (রা.) ও ওমরকেও (রা.) সালাম দিন। এ ছাড়া মসজিদে নববি সংলগ্ন জান্নাতুল বাকিতে অবস্থিত অন্যান্য সাহাবিদের কবরও জিয়ারত করতে পারেন। ফজর ও আসরের পর জান্নাতুল বাকি জনসাধারণের জিয়ারতের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

৩. মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করুন

মদিনার মসজিদে কুবা নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাতে বানানো প্রথম মসজিদ। কোরআনে মসজিদে কুবার প্রশংসা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অবশ্যই যে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাকওয়ার ওপর প্রথম দিন থেকে তা বেশী হকদার যে, তুমি সেখানে নামাজ আদায় করতে দাঁড়াবে। সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন। (সুরা তওবা: ১০৮)

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি শনিবার কখনো পায়ে হেঁটে কখনও বাহনে চড়ে মসজিদে কুবায় নামাজ আদায় করতে যেতেন। (সহিহ বুখারি: ১১৯৩) নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজের ঘর থেকে পবিত্র হয়ে মসজিদে কুবায় গিয়ে নামাজ আদায় করবে, সে একটি ওমরাহ করার সওয়াব লাভ করবে। (সুনানে ইবনে মাজা: ১৪১২)

৪. ওহুদের শহিদদের কবর জিয়ারত করুন

ওহুদ প্রান্তরে ওহুদ যুদ্ধে শহিদ সাহাবীদের কবর রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন শহিদদের সর্দার আল্লাহর রাসুলের (সা.) চাচা হজরত হামজা (রা.), হজরত হানজালা (রা.), হজরত আবু সালামাসহ (রা.) অনেক মর্যাদাবান সাহাবী। আল্লাহর তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন, তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন। নবিজি (সা.) মাঝে মাঝে ওহুদের শহিদদের কবর জিয়ারত করতে যেতেন। একবার ওহুদের শহিদদের কবর জিয়ারত করে তিনি বলেছিলেন, হে আল্লাহ, আপনার দাস ও নবি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, এরা শহিদ। কেয়ামত পর্যন্ত যারা এদের কবর জিয়ারত করবে এবং সালাম দেবে শহিদগণ তাদের সালামের জবাব দেবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২০)

ওএফএফ/এমএস

আরও পড়ুন