ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

কোরবানির গোশত অমুসলিম ব্যক্তিকে দেওয়া যাবে কি?

ওমর ফারুক ফেরদৌস | প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ১৩ জুন ২০২৪

কোরবানির অন্যতম অনুষঙ্গ কোরবানির গোশত খাওয়ানো, হাদিয়া দেওয়া ও দান করা। কোরআনে আল্লাহ কোরবানির গোশত নিজে খাওয়ার পাশাপাশি দুই শ্রেণীর দরিদ্রদের দান করার নির্দেশ দিয়েছেন; যারা চায় তাদের দিতে বলেছেন, যারা চায় না তাদেরও দিতে বলেছেন। আল্লাহ বলেন,

وَالۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰهَا لَکُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰهِ لَکُمۡ فِیۡهَا خَیۡرٌ فَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلَیۡهَا صَوَآفَّ فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُهَا فَکُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ کَذٰلِکَ سَخَّرۡنٰهَا لَکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ
আর কোরবানির উটকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন বানিয়েছি; তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় সেগুলির উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর যখন সেগুলি কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে খাও। যে অভাবী, মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং যে অভাবী চেয়ে বেড়ায়-তাদেরকে খেতে দাও। এভাবেই আমি ওগুলিকে তোমাদের অনুগত করে দিয়েছি; যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা হজ: ৩৬)

কোরবানির গোশত মুসলমানদের পাশাপাশি অমুসলিমদেরও খাওয়ানো যায়, হাদিয়া দেওয়া বা দান করা যায়। অমুসলিম প্রতিবেশীর বাসায় কোরবানির গোশত পাঠানো বা তাদের দাওয়াত দিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। অমুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিকে কোরবানির গোশত দান করা যায়, কোরবানির চামড়াও অমুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিকে দান করা যায়।

মুসলমানদের সদকাসমূহের মধ্যে শুধু জাকাত অমুসলিমদের দেওয়া যায় না। এ ছাড়া সদকায়ে ফিতরসহ বাকি সব সদকা ও দান মুসলিমদের পাশপাশি অমুসলিম দরিদ্রদেরও দেওয়া যায়।

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবার বর্ণনায় সাঈদ ইবনে যুবাইর বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার সাহাবিদের বলেছিলেন তোমরা শুধু তোমাদের ধর্মের মানুষদের দান করো। তখন আল্লাহ তাআলা কোরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ করেন,

لَیۡسَ عَلَیۡكَ هُدٰىهُمۡ وَ لٰكِنَّ اللّٰهَ یَهۡدِیۡ مَنۡ یَّشَآءُ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَلِاَنۡفُسِكُمۡ وَ مَا تُنۡفِقُوۡنَ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡهِ اللّٰهِ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یُّوَفَّ اِلَیۡكُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
(হে নবি) মানুষকে সত্যপথ গ্রহণ করানোর দায়িত্ব তোমাকে দেয়া হয় নি। আল্লাহ যাকে চান সৎপথে পরিচালিত করেন। (হে মানুষ!) যে অর্থবিত্ত তোমরা দান করো, সে দান তো তোমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্যেই। তোমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে ব্যয় করো। অতএব দানের পুরোপুরি প্রতিদান তোমাদেরকে অবশ্যই দেয়া হবে। তোমাদের হক কখনো নষ্ট করা হবে না। (সুরা বাকারা: ২৭২)

এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুল (সা.) বললেন, তোমরা সব ধর্মের মানুষদেরকেই দান করো।

অন্য বর্ণনায় এসেছে প্রথম দিকে মুসলমানরা অমুসলিমদের দান করতে অনাগ্রহ দেখাতো। তারা ভয় করতো হয়তো তারা এই দানের জন্য সওয়াব পাবে না। তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।

ওএফএফ/এএসএম

আরও পড়ুন