হজের সময় ভাঙা নখ কেটে ফেলা যাবে কি?
হজ ও ওমরার নিয়তে ইহরাম বাধলে বৈধ অনেক কিছু হারাম হয়ে যায়। নখ কাটা সেগুলোর অন্যতম। ইহরাম বাধার পর নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফসহ শরীরে যে কোনো জায়গার পশম কাটা বা ছেড়া নিষিদ্ধ।
তবে কোনো নখ মরে গেলে বা ভেঙে গেলে, ইহরাম অবস্থায় সেটা কেটে ফেলা জায়েজ। এ রকম নখ কাটার কারণে কোনো সদকা বা জরিমানা দিতে হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন,
إذَا انْكَسَرَ ظُفْرُ الْمُحْرِمِ فَلْيَقُصَّه.
ইহরাম অবস্থায় কারো নখ ভেঙে গেলে সে তা কেটে ফেলতে পারবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ১২৯০৩)
এক নজরে যেসব কাজ সাধারণ অবস্থায় বৈধ হলেও ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ
১. সহবাস করা, কামভাব সৃষ্টি হয় এমন কথা ও কাজ করা, কামোত্তেজনাসহ স্বামী/ স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।
২. পুরুষদের জন্য কোনো সেলাই করা যে কোনো পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ।
৩. পুরুষদের জন্য মাথা বা মুখ ঢাকা, টুপি পরা নিষিদ্ধ। নারীদের জন্য চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ।
৪. পুরুষদের জন্য পায়ের পাতার ওপরের অংশ ঢেকে যায় এমন জুতা পরা নিষিদ্ধ।
৫. নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের কোনো পশম কাটা বা ছেঁড়া নিষিদ্ধ।
৬. কোনো ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। সুগন্ধি সাবান, পাউডার, ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। এমনকি সুগন্ধি জর্দাও খাওয়াও নিষিদ্ধ।
৭. প্রাণী শিকার করা, প্রাণী শিকারে সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ।
৮. ক্ষতিকর নয় এমন কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখি মারা নিষিদ্ধ।
ওএফএফ/এমএস