আল্লাহর কাছে ক্ষমার অযোগ্য যে পাপ
ইসলামে শিরক বা আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরিক সাব্যস্ত করা সবচেয়ে বড় ও গুরুতর পাপ। এটা একমাত্র গুনাহ যা আল্লাহ ক্ষমা করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন,
اِنَّ اللّٰهَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِهٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰهِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا
নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শরিক করার পাপ ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরিক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল। (সুরা নিসা: ৪৮)
তাই বড়-ছোট সব ধরনের শিরক থেকে বেঁচে থাকা অত্যাবশ্যক। শিরকের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে এমন কাজগুলো থেকেও দূরে থাকা থাকা উচিত। যেমন কবর বাঁধাই করা, সমাধিস্তম্ভ বানানো, কবরের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা ইত্যাদি। আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নবি ও খলিল হজরত ইবরাহিমের (আ.) মতো ব্যক্তিও নিজের ও বংশধরদের শিরকে জড়িত হয়ে পড়ার ভয় করতেন। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন,
وَّاجۡنُبۡنِیۡ وَ بَنِیَّ اَنۡ نَّعۡبُدَ الۡاَصۡنَامَ
আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন। (সুরা ইবরাহিম: ৩৫)
যারা শিরকের ব্যাপারে যথাযথভাবে জানে না, শিরকে জড়িত হওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাকে না, তারা অনেক সময় না বুঝে শিরকে জড়িয়ে পড়ে। শয়তান বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে মানুষকে এই গুরুতর পাপে জড়িয়ে আল্লাহর দীন থেকে বের করে দিতে। আল্লাহ বলেন,
کَمَثَلِ الشَّیۡطٰنِ اِذۡ قَالَ لِلۡاِنۡسَانِ اکۡفُرۡ فَلَمَّا کَفَرَ قَالَ اِنِّیۡ بَرِیۡٓءٌ مِّنۡکَ اِنِّیۡۤ اَخَافُ اللّٰهَ رَبَّ الۡعٰلَمِیۡنَ
যেমন শয়তান মানুষকে বলেছিল, ‘কুফরি কর’, তারপর যখন সে কুফরি করল তখন সে বলল, আমি তোমার থেকে মুক্ত; নিশ্চয় আমি সকল সৃষ্টির রব আল্লাহকে ভয় করি। (সুরা হাশর: ১৬)
শয়তান বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে শিরকের কাছাকাছি নিয়ে যায়। যেমন আল্লাহর ওলিদের প্রতি ভালোবাসা, তাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যলাভের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন,
اَلَا لِلّٰهِ الدِّیۡنُ الۡخَالِصُ وَ الَّذِیۡنَ اتَّخَذُوۡا مِنۡ دُوۡنِهٖۤ اَوۡلِیَآءَ ۘ مَا نَعۡبُدُهُمۡ اِلَّا لِیُقَرِّبُوۡنَاۤ اِلَی اللّٰهِ زُلۡفٰی ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَحۡکُمُ بَیۡنَهُمۡ فِیۡ مَا هُمۡ فِیۡهِ یَخۡتَلِفُوۡنَ ۬ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهۡدِیۡ مَنۡ هُوَ کٰذِبٌ کَفَّارٌ
জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই বিশুদ্ধ ইবাদত-আনুগত্য। যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা শুধু এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।’ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফের, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হেদায়াত দেন না। (সুরা জুমার: ৩)
ওএফএফ/এএসএম