ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জুমাতুল বিদার ফজিলত ও আমল

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

আমাদের দেশে `জুমাতুল বিদা’ বলে রমজানের বিদায়ী জুমা বা শেষ জুমা বোঝানো হয় এবং অনেকে মনে করে ইসলামে এ দিনের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এমন কি এ দিনের বিশেষ আমল ও নামাজের কথাও অনেকে প্রচার করে থাকেন। এগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন ভুল ধারণা। জুমাতুল বিদা একটি নব আবিস্কৃত পরিভাষা; এই শব্দটি কোরআন হাদিসে পাওয়া যায় না। এ দিনের বিশেষ কোনো ফজিলত বা আমলও কোরআন-হাদিসে পাওয়া যায় না।

রমজানের শেষ জুমা রমজানের অন্যান্য জুমার মতোই ফজিলতপূর্ণ। জুমার দিনের বিশেষ যে আমলগুলো সারা বছরই অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ, রমজানে সেগুলোর সওয়াব বহুগুণ বেড়ে যায়। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পবিত্র রমজনের একটি রাত বরকত ও ফজিলতের দিক থেকে হাজার মাস থেকেও উত্তম। এ মাসের রোজাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করেছেন এবং এর রাতগুলোয় আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোকে নফল ইবাদত রূপে নির্দিষ্ট করেছেন। যে ব্যক্তি রমাযানের রাতে ফরজ ইবাদত ছাড়া সুন্নত বা নফল ইবাদত করবে, তাকে এর বিনিময়ে অন্যান্য সময়ের ফরজ ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো ফরজ আদায় করবে, সে অন্যান্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদতের সমান পুণ্য লাভ করবে। (বায়হাকি)

এ দিনের বিশেষ আমল নেই। অন্যান্য জুমার দিনের আমলগুলোই এ দিন পালন করুন। জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করুন। দাঁত ব্রাশ/ মিসওয়াক করুন, সম্ভব হলে সুগন্ধী ব্যবহার করুন এবং উত্তম পোশাক পরিধান করুন। জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। ইমাম খুতবা শুরু করার আগে অবশ্যই মসজিদে উপস্থিত হোন। ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করুন। তবে মসজিদে পৌছতে দেরি হলে অন্যদের কষ্ট দিয়ে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাবেন না; যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই বসে পড়ুন। মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনুন। খুতবার সময় কথা বলবেন না। অন্য কাউকে চুপ থাকতে বলার প্রয়োজন হলে ইশারায় বলুন এবং উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায় করুন।

আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)

ওএফএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন