ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

অভাবগ্রস্ত আত্মীয়দের হক আদায় করুন

ওমর ফারুক ফেরদৌস | প্রকাশিত: ০৭:১১ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২৪

আজ (২৮ মার্চ) ১৭ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৮তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২১ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা আনকাবুতের শেষাংশ, সুরা রুম, সুরা লোকমান, সুরা সাজদাহ ও সুরা আহজাবের প্রথমার্ধ।

পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:

১. মুমিনের সম্পদে তার দরিদ্র আত্মীয়দের হক রয়েছে। কোনো মুমিনের যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে তার কর্তব্য হয়ে পড়ে দরিদ্র আত্মীয়দের খোঁজ-খবর নেওয়া, যথাসাধ্য সাহায্য করা, বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানো। আত্মীয়, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরদের হক আদায়ের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা তার রিজিক প্রশস্ত করেন অথবা তা সীমিত করেন? এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের জন্য। তাই আত্মীয়কে দিয়ে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের জন্য এটা শ্রেয় এবং তারাই সফলকাম। (সুরা রুম: ৩৭, ৩৮)

২. ইসলাম এতিম, অসহায়, বা দরিদ্র শিশুদের সাহায্য করতে, তাদের দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করে। কোরআনে আল্লাহ বার বার এতিম শিশুদের সাহায্য করতে, আশ্রয় দিতে, স্নেহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কেউ যদি এতিম বা অসহায় কোনো শিশুকে আশ্রয় দেন, পালিত ছেলে বা মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেন, তা নিঃসন্দেহে অপরিসীম সওয়াবের কাজ। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী কারো পিতা মাতার পরিচয় বদলানো বৈধ নয়। পালিত হিসেবে নেওয়ার পর শিশুর আইডেন্টিটি বদলে প্রকৃত বাবা মায়ের পরিচয় গোপন করে শিশুটিকে নিজেদের সন্তান হিসেবে পরিচিত করা যাবে না। তাকে তাদের পালিত সন্তান হিসেবে পরিচিত করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক; আল্লাহর কাছে এটাই অধিক ইনসাফপূর্ণ। যদি তোমরা তাদের পিতৃ-পরিচয় না জান, তাহলে তারা তোমাদের দীনি ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। আর এ বিষয়ে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন পাপ নেই; কিন্তু তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে পাপ হবে। আর আল্লাহ অধিক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা আহজাব: ৩৩)

৩. সন্তানের ওপর বাবা-মায়ের ইহসান অপরিসীম। তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা, তাদের সাথে সদাচার করা কর্তব্য। তারা যদি আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে পীড়াপীড়ি করে, তাহলে সেটা মানা যাবে না। কিন্তু দুনিয়াবি ব্যপারে তাদের সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি তো মানুষকে তার মাতাপিতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। মা সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মাতাপিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট। তোমার মাতা-পিতা যদি তোমাকে পীড়াপীড়ি করে আমার সাথে শরীক করতে যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই তাহলে তুমি তাদের কথা মানবেনা। তবে পৃথিবীতে তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে এবং যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তার পথ অবলম্বন কর, অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই নিকট এবং তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আমি তোমাদেরকে অবহিত করব। (সুরা লোকমান: ১৫, ১৬)

ওএফএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন