কোরআন শেখানোর ফজিলত
কোরআন মানবজাতির জন্য প্রেরিত আল্লাহর চূড়ান্ত ধর্মগ্রন্থ যা হেদায়াতের আলোকবর্তিকা, সফলতার পাথেয়। সর্বশেষ নবি ও রাসুল মোহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওপর অবতীর্ণ কোরআন পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্তই অবিকৃত অবস্থায় মানুষের মধ্যে থাকবে এবং মানুষকে সঠিক পথে দিশা দিতে থাকবে।
কোরআনের ইলম যারা মানুষকে শিক্ষা দেন মানুষের মধ্যে প্রচার করেন তাদের ফজিলত অনেক। এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোরআনের শিক্ষককে মুসলমানদের মধ্যে সর্বোত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছেন। ওসমান (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিখে অপরকে শিক্ষা দেয়। (সহিহ বুখারি: ৫০২৭)
আরেকটি হাদিসে কোরআন-হাদিসের ইলম অর্জন করতে পারা এবং মানুষকে তা শেখানোর সুযোগ লাভ করাকে ইর্ষণীয় বলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالاً فَسُلِّطَ عَلَى هَلَكَتِهِ فِي الْحَقِّ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ الْحِكْمَةَ، فَهْوَ يَقْضِي بِهَا وَيُعَلِّمُهَا
কেবলমাত্র দুটি ব্যাপারেই ঈর্ষা করা যায়; এমন ব্যক্তিকে ঈর্ষা করা যায়, যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন এবং তা হক পথে ব্যয় করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। এমন ব্যক্তিকেও ঈর্ষা করা যায়, যাকে আল্লাহ তাআলা জ্ঞান দান করেছেন, সে ওই জ্ঞানের সাহায্যে ফায়সালা করে ও তা শিক্ষা দেয়। (সহিহ বুখারি: ৭৩)
আমাদের সবারই কর্তব্য এই ঈর্ষণীয় ফজিলত অর্জন করার চেষ্টা করা। কোরআন ও দীনি ইলম নিজে শেখা, অপরকে শেখানো, কোরআন শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সহযোগী হওয়া।
ওএফএফ/জেআইএম