শিরক থেকে মুক্ত হতে যে সুরা পাঠ করবেন
সুরা কাফিরুন কোরআনের ১০৯তম সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরাটির আয়াতসংখ্যা ৬টি। ছোট এ সুরাটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। একটি হাদিসে রাসুল (সা.) সুরাটিকে কোরআনের এক চতুর্থাংশ বলেছেন। (সুনানে তিরমিজি) বর্ণিত রয়েছে নবিজি (সা.) প্রায়ই ফজরের সুন্নাত ও মাগরিবের সুন্নাত নামাজে সুরা কাফেরুন ও সুরা ইখলাস পাঠ করতেন। সুরা কাফেরুন পড়তেন প্রথম রাকাতে। আরও বর্ণিত রয়েছে, নবিজি (সা.) তাওয়াফের পরবর্তী দুরাকাত নামাজের উভয় রাকাতেই সুরা কাফেরুন পড়তেন।
সুরা কাফেরুন ফজিলতপূর্ণ হওয়ার একটি কারণ হলো, সুরাটি শিরক ও কুফর থেকে পবিত্রতা ঘোষণা করে। রাসুল (সা.) তার একজন সাহাবিকে রাতে ঘুমানোর সময় এ সুরা পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফারওয়া ইবনে নওফল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) তাকে বলেছিলেন, তুমি ঘুমানোর সময় সুরা কাফিরুন তিলাওয়াত করবে। এ সুরা শিরক থেকে মুক্তি দানকারী। (সুনানে আবু দাউদ)
সুরা কাফেরুন অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট হলো, এ সময় কাফেররা বিভিন্নভাবে নবিজিকে (সা.) দীন প্রচারের ব্যাপারে নমনীয় করার চেষ্টা করছিলো। বিভিন্ন রকম আপসের প্রস্তাব দিচ্ছিলো। যেমন তারা প্রস্তাব দিয়েছিলো, তুমি রাজি থাকলে এক বছর তোমার রবের ইবাদত করা হবে, এক বছর আমাদের দেব-দেবীর। এ সুরা নাজিল করে আল্লাহ তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন শিরক ও অবিশ্বাসের পথ আর ইমান ও বিশ্বাসের পথ আলাদা।
সুরা কাফেরুন
(১)
قُلۡ یٰۤاَیُّہَا الۡکٰفِرُوۡنَ
কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
বলো, হে কাফিররা!
(২)
لَاۤ اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ
লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
আমি তার ইবাদত করি না যার ইবাদত তোমরা করো
(৩)
وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ
ওয়ালাআনতুম আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি,
(৪)
وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ
ওয়ালাআনা আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
এবং আমি ইবাদতকারী নই তার যার ইবাদত তোমরা করে আসছ।
(৫)
وَلَاۤ اَنۡتُمۡ عٰبِدُوۡنَ مَاۤ اَعۡبُدُ
ওয়ালাআনতুম আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
এবং তোমরাও তার ইবাদতকারী নও যার ইবাদত আমি করি।
(৬)
لَکُمۡ دِیۡنُکُمۡ وَلِیَ دِیۡنِ
লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
ওএফএফ/এমএস