ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

নামাজের পর উচ্চৈঃস্বরে দরুদ পড়ার বিধান কী?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাসুলের (সা.) জন্য দোয়া করা, দরুদ পড়া নিঃসন্দেহে উত্তম আমল। আল্লাহ কোরআনে নবিজির জন্য সালাত ও সালাম পাঠের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا

নিশ্চয় আল্লাহ নবির প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহযাব: ৫৬)

হাদিসেও বেশি বেশি দরুদ পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নামাজের পর বিশেষভাবে উচ্চৈঃস্বরে দরুদ পড়ার প্রচলন নবিজির যুগে বা সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মধ্যে ছিল না। তাবেঈ বা তাবে-তাবেঈদের যুগেও এ রকম কোনো প্রচলন ছিল বলে জানা যায় না। যদিও তারা দরুদ পড়ার ফজিলত ভালো করেই জানতেন এবং বেশি আমল করতেও আগ্রহী ছিলেন।

তাই যদি ফরজ নামাজের পর সম্মিলিতভাবে উচ্চৈঃস্বরে দরুদ পড়াকে নিয়মিত ও আবশ্যক আমল হিসেবে গ্রহণ করা হয়, কেউ দরুদ না পড়লে তার নিন্দা করা হয়, তাহলে এটা বাড়াবাড়ি এবং ইসলামের মধ্যে একটি নতুন উদ্ভাবিত বিষয় গণ্য হবে।

তবে কেউ ব্যক্তিগতভাবে নামাজের পর অন্যান্য দোয়ার মতো দরুদ পাঠ করতে পারেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
শরিয়তের প্রত্যেকটি আমলে আমাদের নবি (সা.) ও তার সাহবায়ে কেরামের সুন্নাত অনুসরণ করা উচিত। সুন্নাত অনুসরণ করলে পথভ্রষ্টতা থেকে বেঁচে থাকতে পারবো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নামাজের জামাত ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সুন্নাত অনুসরণের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন,

مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ

যে ব্যাক্তি পছন্দ করে যে, বিচার দিবসে সে মুসলিম হিসেবে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবে, সে যেন নিয়মিত মসজিদে এসে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তোমাদের নবিকে হেদায়াতের সব পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। এটাই হেদায়াতের পথ। তোমরা যদি জামাত ছেড়ে ঘরে নামাজ আদায় করো, যেমন একদল লোক করছে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে। নবির সুন্নাত ছেড়ে দিলে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম: ১৩৬৩)

ওএফএফ/এমএস

আরও পড়ুন