বিয়ের পর ‘বর-কনে’ যাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
সহজ কথা হলো, যাদের বিয়ে করা হারাম তাদের সঙ্গে দেখা করার যাবে। তবে ব্যতিক্রম হলো স্ত্রীর বোন বা শ্যালিকা। কেননা স্ত্রীর বোনকে বিয়ের অনুমতি দেয়নি ইসলাম। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে ‘বর-কনে’ কাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন আর কাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না; তা অনেকেই জানে না। তাদের পরিচয় ও বিবরণ কী?
যাদেরকে বিয়ে করা হারাম তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমোদন দিয়েছে ইসলাম। শুধুমাত্র স্ত্রীর বোন ছাড়া। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
'তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে-
১. তোমাদের মা,
২. তোমাদের মেয়ে,
৩. তোমাদের বোন,
৪. তোমাদের ফুফু,
৫. তোমাদের খালা,
৬. ভাইয়ের মেয়ে,
৭. বোনের মেয়ে,
৮. তোমাদের ওই মা- যারা তোমাদের দুধ পান করিয়েছে (দুধ মা),
৯. তোমাদের দুধ-বোন,
১০. তোমাদের স্ত্রীদের মা (শাশুড়ি),
১১. ওই সব কন্যা সন্তান- যাদের মায়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার (সহবাস) করছো আর ওই সন্তান তোমাদের সঙ্গে লালিত-পালিত হচ্ছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোনো গোনাহ নেই।
১২. তোমাদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রী।
১৩. আর দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করাও হারাম।
কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।' (সুরা নিসা : আয়াত ২৩)
এ আয়াতে উল্লেখিত নারী-পুরুষ পরস্পরের সঙ্গে যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম তার বর্ণনা উঠে এসেছে। তবে কোনো পুরুষের জন্য যেমন স্ত্রীর বোনের সঙ্গে আর কোনো নারীর জন্য তার স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমোদন দেয়নি ইসলাম।
বর শ্বশুর বাড়িতে যাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
শ্বশুর বাড়িতে পুরুষের (জামাইর) জন্য যাদের সঙ্গে দেখা করা বৈধ, তারা হলেন-
১. শাশুড়ি,
২. শাশুড়ির মা (নানি শাশুড়ি),
৩. শাশুড়ির বোন (খালা শাশুড়ি)
৪. শ্বশুরের মা (দাদি শাশুড়ি),
৫. শ্বশুরের বোন (ফুফু শাশুড়ি)
৬. নাবালেগ (শিশু) মেয়ে সন্তান ও
৭. এমন বৃদ্ধ নারী, যার দিকে কুদৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
কনে শ্বশুর বাড়িতে যাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন
শ্বশুর বাড়িতে কনের (বউয়ের) জন্য যাদের সঙ্গে দেখা করা বৈধ, তারা হলেন-
১. শ্বশুর,
২. শাশুড়ি বাবা (নানা শ্বশুর),
৩. শ্বশুরের বাবা (দাদা শ্বশুর),
৪. নাবালেগ (শিশু) ছেলে সন্তান।
ইসলামের বিধান পর্দার হুকুম পালনে উল্লেখিত মাহরাম ব্যক্তিদের বাইরে কারও সঙ্গে দেখা দেয়ার অনুমোদন দেয় না ইসলাম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের বিধান পালনে কোরআনের নির্দেশনা মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস