ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ব্যভিচার থেকে বিরত থাকতে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২৩

ব্যভিচার মানুষকে ঈমানহীন করে দেয়। বড় গুনাহসমূহের মধ্যে এটি একটি। যৌনাচার-ব্যভিচার হলো মারাত্মক অশ্লীল ও মন্দ কাজ। কোরআনের নির্দেশ মেনে এটি থেকে বিরত থাকা মুসলিম উম্মাহর জন্য আবশ্যক। এ থেকে বেঁচে থাকার উপায় কী?

ব্যভিচার মারাত্মক অপরাধ। এটি থেকে বিরত থাকা মহান আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً

‘আর তোমরা ব্যভিচারের ধারে-কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৩২)

নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেন-

‘যখন মানুষ ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার থেকে ঈমান বের হয়ে যায়। ঈমান তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করে; যখন সে বিরত হয় তখন ঈমান আবার ফিরে আসে’ (তিরমিজি)

ব্যভিচারের ধরন

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের কিছু অংশ লিপিবদ্ধ হয়েছে; সে অবশ্যই তার মধ্যে লিপ্ত হবে। (তাহলো)-

১. দুই চোখের ব্যভিচার হল দৃষ্টি;

২. আর তার দুই কানের ব্যভিচার শোনা;

৩. মুখের ব্যভিচার হল কথা বলা;

৪. হাতের ব্যভিচার হল স্পর্শ করা এবং

৫. পায়ের ব্যভিচার হল পদক্ষেপ আর

৬. অন্তরে ব্যভিচারের আশা ও ইচ্ছার সঞ্চার হয়, অবশেষে লজ্জাস্থান একে সত্যে অথবা মিথ্যায় পরিণত করে দেয়।’ (মুসলিম)

ব্যভিচার থেকে চেঁচে থাকার উপায়

ব্যভিচার থেকে বেঁচে থাকা সবার জন্য জরুরি। কবিরা গুনাহমুক্ত জীবন গড়তে ব্যভিচারের ধরনগুলো থেকেও এড়িয়ে চলার বিকল্প নেই। এ জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন তাহলো-

১. নারী-পুরুষ অবিবাহিত হলে বিয়ে করা।

২. বিবাহিত হলে স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি মনোযোগী হওয়া।

বিয়ে করা সম্ভব না হলে…

৩. একাকি বসবাস করা থেকে বিরত থাকা।

৪. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ/জিকির করা।

৫. জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে জানা।

৬. সপ্তাহিক (সোম ও বৃহস্পতিব) এবং মাসিক (আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ) রোজা রাখা। তাতেও বিয়ে ছাড়া থাকতে কষ্ট হলে একদিন পর একদিন রোজা রাখা।

৭. বিপরীত লিঙ্গে দিকে না তাকানো ও কথা বলা থেকে বিরত থাকা। অর্থাৎ নারী ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের দিকে আবার পুরুষ নারীর দিকে না তাকানো।

সর্বোপরি পাপ না করার জন্য মনকে দৃঢ়ভাবে স্থির করতে হবে। সব সময় আল্লাহকে ভয় করতে হবে। একান্ত নির্জনে থাকা অবস্থায় জেনা-ব্যভিচার সম্পর্কিত পাপ করার সম্ভাবনা থাকলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় চোখ, কান, হাত-পা ও অন্তরের কামনা-বাসনাসহ জেনা-ব্যভিচারের সব ধরনের আক্রমণ থেকে নিজেদের হেফাজত করার তাওফিক দানর করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন