ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ঋণগ্রস্ত হলে হজ করতে পারবে কি?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ১২ জুন ২০২৩

হজ আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। এ ইবাদতকারীর জন্য আগে ঋণ পরিশোধ করা জরুরি। সামর্থ্য থাকলে ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা নিষেধ। এটিকে জুলুমের সঙ্গে তুলনা করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিন্তু কেউ যদি ঋণ পরিশোধ করা ছাড়া হজ আদায় করে তবে তার হজ হবে কি?

হ্যাঁ, কেউ যদি ঋণ পরিশোধ না করে হজ আদায় করে তবে তার ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। এই হজ দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন হবে না। তবে হজের জন্য শর্ত হলো-
وَ لِلّٰهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡهِ سَبِیۡلًا ؕ وَ مَنۡ کَفَرَ فَاِنَّ اللّٰهَ غَنِیٌّ عَنِ الۡعٰلَمِیۡنَ
মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বাইতুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের ওপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে, তাহলে জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন। (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৯৭)

ইসলামিক স্কলারদের মতে, ঋণের সঙ্গে হজ হওয়া-না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যে ব্যক্তি ঋণগ্রন্ত তার উচিত, হজ না করা। কারণ সে যে অর্থ দিয়ে হজ করবে সে অর্থ দিয়ে ঋণ আদায় করা উত্তম।

এরপরও যদি কেউ ঋণগ্রস্ত থেকে হজ আদায় করে তবে তার বিধান সম্পর্কেও ইসলামিক স্কলাররা বলেন, হজ আদায় হয়ে যাবে যদি হজের রোকন ও শর্তগুলো সে পরিপূর্ণভাবে আদায় করে। এই হজ দ্বিতীয়বার করার প্রয়োজন হবে না। তবে এভাবে হজ করাকে কোনো কোনো আলেম মাকরূহ বলেছেন। (ফাতাওয়া কাজিখান : ১/৩১৩)

আর জিম্মাদারিতে ঋণ থাকলে ঋণ পরিশোধ করা জরুরি। কারণ, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা নিষেধ। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ধনী ব্যক্তির (ঋণ আদায়ে) গড়িমসি করা জুলুম। (বুখারি, হাদিস : ২৪০০) তবে ঋণ পরিশোধ না করে হজ আদায় করলেও ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে।

মনে রাখতে হবে
হজ ফরজ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- ‘শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া। সামর্থ্যের মধ্যে আর্থিক সামর্থ্য থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর যে ব্যক্তির উপর ঋণ রয়েছে, তার প্রথম কাজ হলো ঋণ পরিশোধ করা। কেননা ঋণদাতারা যদি ঋণ আদায় করার আগে হজ আদায়ে বাধা দেয় তাহলে সে ব্যক্তি হজ আদায় করবে না। কারণ সে হজের জন্য আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নয়। তবে যদি ঋণদাতারা ঋণ আদায়ে চাপ না দেয় এবং সে জানে যে, তারা বিষয়টি সহজভাবে নিবে তাহলে তার জন্য হজ আদায় করা জায়েজ আছে। হতে পারে হজ তার ঋণ আদায় করার জন্য কোন কল্যাণের পথ খুলে দেবে।’ (সৌদি স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র, ১১/৪২, ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ২০৪৯৮৬)

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন