ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

হজ-ওমরায় নারীরা কি পর্দা পালন করবে?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত হজ। এটি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। হজ-ওমরায় কি নারী-পুরুষের পর্দা পালন করতে হবে? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনাই বা কী?

হজ-ওমরায় নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতি পর্দা পালনে যথাযথ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। হজ ও ওমরা পালনে নারীদের অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। পুরুষরা কোনো নারীর প্রতি তাকাবে না। নারীরা তাদের চেহারা ঢেকে হজ ও ওমরার কাজ সম্পন্ন করবে।

কোনোভাবেই হজ ও ওমরা পালনকারী নারীরা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না। সুগন্ধি লাগিয়ে কাবা শরিফ তওয়াফ ও সায়ি করতে যাবে না। তওয়াফ ও সায়িসহ হজের যাবতীয় রোকন পালনে পর্দা এবং সৌন্দর্য প্রকাশ করা থেকে নিজেদের পরিহার করা নারীদের জন্য আবশ্যক কর্তব্য।

হজ-ওমরায় নারীরা শুধু বৈধ মাহরামদের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে। আর নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশের নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হলেন প্রত্যেকেরে স্বামী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন-

 ‘বিশ্বাসী নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থান রক্ষা করে। তারা সাধরণত যা প্রকাশ করে থাকে তা ব্যতিত তাদের সৌন্দর্য যেন প্রদর্শন না করে, তাদের বুকের ওপর যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, তাদের নারীগণ, নিজ অধিকারভূক্ত দাস,  যৌনকামনা রহিত অনুচর পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতিত কারও কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা নিজেদের যে সৌন্দর্য লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেয়ার উদ্দেশ্যে সজোরে চলাফেরা না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা করো; আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।’ (সুরা নুর আয়াত ৩১)

সুতরাং হজ-ওমরার সময় নারীদের করণীয় হলো-

> কাবা শরিফ তওয়াফের সময় ভীড় উপক্ষো করে নিরাপদ স্থান দিয়ে পর্দার সঙ্গে চক্কর দেওয়া।

> হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনিতে সব সময় প্রচণ্ড ভিড় থাকে। এ ভিড়ের মধ্যে নারীরা যদি হাজরে আসওয়াদ চুম্বন ও রোকনে ইয়ামেনি স্পর্শ করতে যায় তবে নিশ্চিত পর্দার লঙ্ঘন হবে। তাই এ ভিড়ের মধ্যে নারীদের  হাজরে আসওয়াদ ও রোকনে ইয়ামেনিতে চুম্বন ও স্পর্শ না করে দূর থেকে ইশারার মাধ্যমে তওয়াফ শুরু ও শেষ করা।

> তওয়াফের পর মাকামে ইবরাহিম বরাবর মসজিদে হারামের ভেতরে নারীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নামাজ আদায় করা।

> সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করার সময়ও তওয়াফের মতো পর্দার সঙ্গে ৭ চক্করের মাধ্যমে সায়ি সম্পন্ন করা। তওয়াফ ও সায়িতে নারীরা তাদের আপনজন তথা মাহরামের পেছনে পেছনে তওয়াফ ও সায়ি সম্পন্ন করবে।

মনে রাখা জরুরি

তবে হজ ও ওমরার যাবতীয় রোকনগুলো পালনে নারীরা নেকাব বা পর্দা করলেও মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে। যদি কেউ মুখমণ্ডল আবৃত করতে চায় তবে মুখের সামনে যাতে খালি থাকে সে রকম নেকাব পরবে। যেমন- হেলমেটের মতো নেকাব। যাতে নেকাবের কাপড় মুখের চামড়াকে স্পর্শ না করে।

নারীর জন্য পর্দা করা ফরজ। তাই হজ-ওমরা পালনে নারীরা পর্দার সঙ্গে মাহরামের পেছনে পেছনে হজ-ওমরার রোকনগুলো যথাযথভাবে পালন করাই তাদের জন্য আবশ্যক। মনে রাখতে হবে, নারীর জন্য হজ যেমন ফরজ, তেমনি নারীর জন্য পর্দাও তেমন ফরজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারীকে পর্দার সঙ্গে হজ-ওমরার যাবতীয় কাজগুলো যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন