ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

কোরবানি দিতে চাইলে যা করবেন

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৪ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

মহান আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম কোরবানি। কেউ এ কোরবানি দিতে চাইলে জিলহজ মাসের শুরু থেকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ইসলামিক স্কলারদের অনেকে কিছু কাজকে আবশ্যক বলেছেন আবার কিছু কাজকে হারাম বলেছেন। সে কাজগুলো কী?

যিনি কোরবানি দেবেন তার জন্য সুন্নাহ থেকে এ কথাগুলো (করণীয়) প্রমাণিত। জিলহজ মাসের শুরু থেকে কোরবানির দিন পশু জবাই করার আগ পর্যন্ত সে তার দেহের কোনো চুল, লোম/পশম, নখ ও চমড়া কাটবে না। হাদিসে পাকে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের মধ্যে কেউ কোরবানি করার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন কোরবানি না করা পর্যন্ত তার চুল ও নখ (কাটা) থেকে বিরত থাকে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে- ‘সে যেন তার (মরা বা ফাটা) চামড়ার কিছুও স্পর্শ না করে।’ (মুসলিম)

সুতরাং কোরবানি দাতার জন্য জিলকদ (চলতি) মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই এ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কারও ক্ষুরকর্ম, নখ, চুল, লোম বা পশম কাটতে হলে এ মাসের মধ্যেই কেটে পরিস্কার করতে হবে। কারণ আরবি মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনে হয়। তাই মাসের শেষ দিকে নতুন (জিলহজ) মাস শুরু হওয়ার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

মনে রাখতে হবে

কোরবানি করার ইচ্ছা আছে তারপরও যদি কেউ জেনে-শুনে ইচ্ছা করেই চুল-নখ কাটে, তবে তার জন্য জরুরি যে, সে যেন আল্লাহর কাছে ইসতেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে। তবে তার এ কাজের জন্য কোনো কাফফারা নেই। সে স্বাভাবিকভাবেই কোরবানি করবে।

একান্ত প্রয়োজনে...

কোরবানি করার ইচ্ছাপোষণকারীর নখ, চুল কিংবা চামড়া কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে তা কেটে ফেলায়ও কোনো দোষ নেই।

সুতরাং কোরবানি করতে আগ্রহীরা জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার আগেই প্রয়োজনীয় চুল-নখ কেটে পরিচ্ছন্ন হবেন। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে পশু জবেহ করার পর্যন্ত সুন্নাতের উপর যথাযথ আমল করবেন।

এমএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন