ওমরার ফরজ-ওয়াজিবগুলো কী?
ওমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত ইবাদত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে চারবার ওমরা পালন করেছেন। তবে ওমরা করা আবশ্যক না হলে তা পালন করা উত্তম। ওমরা পালনে রয়েছে ফরজ ও ওয়াজিব কাজ। সেগুলো কী?
হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘ওমরা করা ওয়াজিব কি-না রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বলেছেন, না; তবে যদি ওমরা করো তা হবে উত্তম।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)
ওমরার ফরজ
কেউ বলেছেন ওমরার ফরজ একটি। তাহলো- কাবাঘর তাওয়াফ করা। আর ওমরার শর্ত হলো ইহরাম বাঁধা। আবার কেউ কেউ বলেছেন ওমরার ফরজ তিনটি। তাহলো-
ওমরাহ পালনে মোট ফরজ কাজ ৩টি। যার কোনোটি ছেড়ে দিলে ওমরাহ সম্পাদন হবে না। আর তাহলো-
১. ইহরাম বাধা
ওমরার জন্য ইহরাম বাধা ফরজ। তাই নির্ধারিত মিকাত থেকে পুরুষরা সেলাইবিহীন দুটি কাপড় পরে ওমরার জন্য ইহরামের নিয়ত করবে।
২. তাওয়াফ করা
ওমরার জন্য তাওয়াফ করা ফরজ। তাওয়াফে পুরুষরা ইজতিবা ও রমল করবে। নারীদের ওমরায় ইজতিবা ও রমল নেই। ইজতিবা ও রমল হলো-
ইজতিবা
পুরুষ তাওয়াফকারীদের জন্য ইজতিবা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। মহিলাদের জন্য কেনো ইজতিবা নেই। আর ইজতিবা হলো তাওয়াফের সময় পুরুষরা গায়ের চাদরকে ডান বগলের নিচে দিয়ে চাদরের উভয় মাথাকে বাম কাঁধের ওপর দিয়ে সামনে এবং পেছনে ফেলে রাখা। হাদসে এসেছে-
রমল
পুরুষ তাওয়াফকারীদের জন্য রমল করা সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। আর রমল হলো- ফরজ তাওয়াফের সময় প্রথম তিন চক্কর বীরদর্পে দুই কাঁধ ও শরীর হেলিয়ে-দুলিয়ে ঘন ঘন পায়ে দ্রুত চলা।
৩. সাফা-মারওয়া সাঈ করা
তাওয়াফের পর সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে ৭ বার সাঈ করা ফরজ। সাঈ করার মাধ্যমে ওমরার কাজ সম্পন্ন হবে। সাফা পাহাড় থেকে সাঈ শুরু হবে আর মারওয়া পাহাড়ে গিয়ে সাঈ শেষ হবে।উল্লেখ্য, এ রোকনগুলোই ওমরার ফরজ।
ওমরার ওয়াজিব
ওমরা পালনের ওয়াজিব ৩টি। তাহলো-
১. মিকাত পার হওয়ার আগেই ইহরাম বাঁধা।
২. ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড়ে সাঈ করা।
৩. মাথা মুণ্ডানো বা ছোট করা।
ওমরার হুকুম
হানাফি ও মালেকি মাজহাবে ওমরা করা সুন্নত। আর শাফেঈ ও হাম্বলি মাজহাবে ওমরা করা ফরজ। অর্থাৎ যার উপর হজ ফরজ তার ওপর ওমরা করাও ফরজ।
ওমরার সময়
ওমরা বছরের যে কোনো মাস ও সময়ে করা যায়। তবে ইমাম আজম আবু হানিফা রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে আরাফাতের দিন, কোরবানির দিন এবং আইয়ামে তাশরিকের তিন দিন ওমরা করা মাকরূহ।
এমএমএস/জেআইএম