ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

জুমার প্রথম খুতবা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায়

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১২ মে ২০২৩

আজ শুক্রবার। বরকতময় মাস শাওয়ালের তৃতীয় জুমা আজ। ১২ মে ২০২৩ ইংরেজি, ২৯ বৈশাখ ১৪৩০ বাংলা, ২১ শাওয়াল ১৪৪৪ হিজরি। আজকের জুমার আলোচ্য বিষয়- প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায়।

প্রিয় মুসল্লিগণ!
চলছে বাংলা বৈশাখ মাস। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যেমন অত্যধিক তাপপ্রবাহ বইছে। আবার তেমন বৃষ্টিপাতও হচ্ছে না। অতিরিক্ত ঝড়-তুফান, বজ্রপাত, ঘূর্ণিঝড়ের মতো মাত্রারিক্ত গরম মানুষের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও আসমানি আজাব ও গবজ থেকে মুক্তির উপায় কী?

প্রিয় মুসল্লিগণ!
মানুষের জন্য যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, তাপ-প্রবাহ, ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প এ সবই বিপদ। মানুষ যখন অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়ে তখনই মহান আল্লাহ বান্দার প্রতি এসব বিপদ চাপিয়ে দেন। এ সম্পর্কে কোরআন সুন্নায় রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। সেসব নির্দেশনা কী?

কোরআনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
ঘূর্ণিঝড়, মহামারি, ভূমিকম্প, প্রচণ্ড তাপ-প্রবাহ, অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ, খড়া ও বজ্রবৃষ্টিসহ যে কোনো দুর্যোগ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সতর্ক করতে কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে নাজিল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَمَا نُرْسِلُ بِالْآيَاتِ إِلا تَخْوِيفًا
‘আমি শুধু ভয় দেখানোর জন্য আমার নিদর্শনসমূহ প্রেরণ করে থাকি।’ (বনি ইসরাঈল: ৫৯)

ভূমিকম্পসহ সব দুর্যোগই মহান আল্লাহ তাআলার এক বড় নিদর্শন। যা ঠেকানোর ক্ষমতা পৃথিবীতে কারো নেই। উন্নত বিশ্বের সব ধরণের টেকনোলোজিও এখানে ব্যর্থ। কিন্তু ভূমিকম্পের মাধ্যমে মানুষের যে ক্ষয়-ক্ষতি হয়, বিপদে পড়ে তাদের জান-মাল নষ্ট হয় তার মূল কারণ হচ্ছে পাপাচার। যেমন- আল্লাহ বলেন-
وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ
‘তিনি তোমাদের ওপর যে মসিবতই এসেছে তা তোমাদের কৃতকর্মের কারণে এসেছে। আর বহু সংখ্যক অপরাধের শাস্তি না দিয়েই তিনি ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন।’ (সুরা শুরা: আয়াত ৩০)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
مَا أَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللَّهِ وَمَا أَصَابَكَ مِنْ سَيِّئَةٍ فَمِنْ نَفْسِكَ
‘হে মানুষ! যে কল্যাণই তুমি লাভ করে থাকো তা আল্লাহর দান এবং যে বিপদ তোমার ওপর এসে পড়ে তা তোমার নিজের উপার্জন ও কাজের বদলাতেই আসে।’ (সুরা নিসা: আয়াত ৭৯)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
فَكُلًّا أَخَذْنَا بِذَنْبِهِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِبًا وَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ وَمِنْهُمْ مَنْ خَسَفْنَا بِهِ الْأَرْضَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَغْرَقْنَا وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
‘শেষ পর্যন্ত প্রত্যেককে আমি তার অপকর্ম ও গুনাহের জন্য পাকড়াও করি। তারপর তাদের কারোর ওপর আমি পাথর বর্ষণকারী, বাতাস প্রবাহিত করি এবং কাউকে একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণ আঘাত হানে। আবার কাউকে আমি ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূমি ধস দিয়ে ভূগর্ভে প্রোথিত করি এবং কাউকে (বন্যা-জলোচ্ছ্বাস-প্লাবন প্রভৃতির মাধ্যমে) পানিতে ডুবিয়ে দিই। আল্লাহ তাদের প্রতি জুলুমকারী ছিলেন না, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করছিল।’ (আনকাবুত: আয়াত ৪০)

তাই সবার উপর আবশ্যক হচ্ছে, আল্লাহর কাছে তওবা করা, তাঁর দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে তার উপর অটল থাকা। শিরক-বিদাতসহ সকল প্রকার অন্যায়-অনাচার পাপাচার থেকে সতর্ক থাকা। যাতে করে আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা দান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
‘যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো, তাহলে আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের রবকতসমূহের দুয়ার খুলে দিতাম। কিন্তু তারা তো সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কাজেই তারা যে অপকর্ম করে যাচ্ছিলো তার জন্য আমি তাদের পাকড়াও করেছি।’ (সুরা আরাফ: আয়াত ৯৬)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
‘স্থলে ও জলে মানুষের কৃতকর্মের জন্যই বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাদেরকে তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (আল্লাহর দিকে) ফিরে আসে।’ (সুরা রূম : আয়াত ৪১)

হাদিসের আলোকে দুর্যোগ
১. হজরত ওমর বিন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগে মদিনায় ভূমিকম্প হলে তিনি মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করেছিলেন। এতে তিনি বলেছিলেন-
ما أسرع ما أحدثتم والله لئن عادت لأخرجن من بين أظهركم (رواه بن عيينة عن عبيد الله بن عمر عن نافع عن صفية)
‘কত দ্রুত তোমরা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছো! পুনরায় যদি ভূমিকম্প হয় তবে আমি তোমাদের মাঝ থেকে (মদিনা থেকে) বের হয়ে অন্যত্র চলে যাব।’

বর্ণিত আছে যে, হজরত ওমর বিন আবদুল আজিজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির যুগে একবার ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন তিনি বিভিন্ন শহরের আমিরদের চিঠি লিখে জনগণকে দান-সাদকা করতে উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। তাহলো-
> মহামারি
لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلاَّ فَشَا فِيهِمُ الطَّاعُونُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلاَفِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا ‏
যখন কোনো জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারি আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা আগেরকার লোকেদের মধ্যে কখনও দেখা যায়নি।
> দুর্ভিক্ষ
وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلاَّ أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمَؤُنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ عَلَيْهِمْ ‏
যখন কোনো জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, শাসকের তরফ থেকে (নেমে আসে) অত্যাচার ও কঠিন বিপদ-মসিবত।
> অনাবৃষ্টি
‏ وَلَمْ يَمْنَعُوا زَكَاةَ أَمْوَالِهِمْ إِلاَّ مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ وَلَوْلاَ الْبَهَائِمُ لَمْ يُمْطَرُوا
আর যখন জাকাত আদায় করে না তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ভূ-পৃষ্ঠে চতুস্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনও বৃষ্টিপাত হতো না।
> বিজাতীয় দুঃশাসন
وَلَمْ يَنْقُضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ إِلاَّ سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَخَذُوا بَعْضَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ ‏
আর যখন কোনো জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাশীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়।
> যুদ্ধের কষ্ট
وَمَا لَمْ تَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَيَتَخَيَّرُوا مِمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمْ بَيْنَهُمْ
যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাজিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন।’ (ইবনে মাজাহ ৪০১৯)

এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
দুনিয়ায় যাবতীয় অন্যায় কাজ ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। বেশি বেশি তওবাহ ইসতেগফার করা। মানুষের অধিকারের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া। তবেই মহান আল্লাহ এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সব বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত করবেন। তাই মহান আল্লাহর কাছে তার আজাব থেকে বাঁচত প্রথমেই অন্যায়মূলক সব গোনাহের কাজ ছেড়ে দেয়া আবশ্যক। এরপর কুরআনে বর্ণিত ছোট্ট এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। আর তাহলো-
১. رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ
উচ্চারণ : 'রাব্বানাকশিফ আন্নাল আজাবা ইন্না মুমিনুন।'
অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর থেকে আপনার শাস্তি প্রত্যাহার করুন, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি।' (সুরা দুখান : আয়াত ১২)

২. اَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَ الْجُنُوْنِ وَ الْجُذَامِ وَمِنْ سَىِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাচি ওয়াল জুনুনি ওয়াল ঝুজামি ওয়া মিন সায়্যিয়িল আসক্বাম।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি শ্বেত রোগ থেকে আশ্রয় চাই। মাতাল হয়ে যাওয়া থেকে আশ্রয় চাই। কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আশ্রয় চাই। আর দুরারোগ্য ব্যাধি (যেগুলোর নাম জানিনা) থেকে আপনার আশ্রয় চাই।

৩. اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَ الْاَدْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ (নষ্ট-বাজে) চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা এবং বাজে অসুস্থতা ও নতুন সৃষ্ট রোগ বালাই থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)

৪. اَللَّهُمَّ لَا تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَ لَا تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَ عَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেল না আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নাও।’ (তিরমিজি)

৫. سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।’ (মুসান্নেফে আবি শায়বায়)
৬. সর্বোপরি কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনার এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়েছেন। তাহলো-
اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্বিনা আজাবান্নার।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের দুনিয়ার কল্যাণ দাও এবং পরকালেরও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও।’ (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, রিয়াদুস সালেহিন)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে তার কাছে তওবা করার তাওফিক দান করুন। সবার তওবা কবুল করুন। কোরআন-সুন্নায় নির্দেশিত অপরাধগুলো থেকে বিরত থেকে আল্লাহর কাছে দোয়ার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

আরও পড়ুন