ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম রোজা

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩

রমজান মাসের রোজা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মাহর জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। একজন সাধারণ মানুষ একনিষ্ঠতার সঙ্গে রোজা পালন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। রমজানের রোজা পালনে অনেক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। ফুলগাছ থেকে মৌমাছির মধু সংগ্রহের মতো রমজান মাসে মুমিন মুসলমান রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে। রমজানের রোজা পালন করার মাধ্যমেই রোজাদার আল্লাহর নেয়ামত ও কল্যাণ পাওয়ার আশা রাখে।

মানুষ রমজানের রোজা পারনের মাধ্যমেই তাদের জীবনে পরিপূর্ণ রহমত ও কল্যাণ পেতে পারে। নিজেদের জীবনে পবিত্র পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আল্লাহ তাআলা রোজাদারের এ প্রচেষ্টা গ্রহণ করে নেবেন।

রমজানের রোজাদারের মূল আভিজাত্য হলো নেক আমল। রমজানের রোজা পালন করার মাধ্যমেই মুমিন তাদের আমলের পরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে। এ রোজা পালন করতে পারার সৌভাগ্যও মহান আল্লাহর রহমত।

রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমেই মানুষ সঠিক পথে সন্ধান পায়। মানুষ একটু চিন্তা করলেই দেখতে পাবে যে, আল্লাহ তাআলার পথে তার রহমতের কোনো শেষ নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

وَ الَّذِیۡنَ جَاهَدُوۡا فِیۡنَا لَنَهۡدِیَنَّهُمۡ سُبُلَنَا ؕ وَ اِنَّ اللّٰهَ لَمَعَ الۡمُحۡسِنِیۡنَ

‘আর যারা আমার পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, তাদেরকে আমি অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথেই আছেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)

এ আয়াকে আল্লাহ তাআলা এটাই বলছেন, যারা আল্লাহ তাআলার দিকে আসার চেষ্টা করে, তিনি তাদের সবাইকে তার দিকে আসার সুযোগ করে দেন। আর আল্লাহ তাআলার রহমতের দিকে আসার সর্বোত্তম পথগুলোর মধ্যে একটি হল রমজানের রোজা। এ রোজা মানুষকে আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র রমজানে মাসে সব নেক আমলের দিকে মুমিনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এ মাসে একজন মুমিনের জন্য ইবাদত ও কুরআন তেলাওয়াতের প্রতি বিশেষ মনোযোগ নিবদ্ধ করাকে আবশ্যক করেছেন। যেহেতু এ মাসটি অত্যন্ত বরকতের মাস, অগণিত অসংখ্য সওয়াব ও রহমত পাওয়ার মাস।

মনে রাখতে হবে

ছোট খাটো রোগ-ব্যধি ও দুর্বলতার অজুহাত দেখিয়ে বরকতময় মাস রমজানের রোজা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। রমজানের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে পুণ্যকর্মের মাধ্যমে জান্নাতে যত বেশী সংখ্যক দরজা দিয়ে প্রবেশ করা সম্ভব মানুষের তাতে প্রবেশের চেষ্টা করা উচিৎ।

এই রমজান মাসে রোজা পালনের মাধ্যমে বেশি বেশি নেক কাজ করে রহমতের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছার চেষ্টা করতে হবে। রমজানের দিনগুলোতে ইবাদতের মান উচ্চ থেকে উচ্চতর করতে থাকা উচিত, দান-সাদকায় অগ্রগামী হওয়া জরুরি।

রোজা পালনে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উত্তম জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। তিনি যেভাবে পবিত্র মাহে রমজানকে অতিবাহিত করেছেন ঠিক সেভাবেই রমজানের রোজা পালন ও ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করার চেষ্টা করতে হবে।

তবেই মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব হবে। রমজানের রোজা পালন ও নেক আমলই মানুষকে মহান আল্লাহর সঙ্গে মিলিত করবে। আর তখনই মুমিন মুসলমানের জন্য রমজানের রোজা হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ধন্য হওয়ার অন্যতম মাধ্যম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র রমজানের রোজা পালন ও নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন