ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

কোরআন তেলাওয়াত, দুরুদ, জিকির কিংবা

আজানকে মোবাইলের রিংটোন দেওয়া যাবে কি?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অনেকের মোবাইলে রিংটোন হিসেবে আজান, দরুদ, কেরাত, কোরআনের আয়াত, দোয়া ও ইসলামি সঙ্গীত বাজতে দেখা যায়। যারা এ কাজটি করছেন তারা দরুদ, আজান বা ধর্মীয় বিষয়গুলোর প্রতি মুগ্ধতা ও আলাদা টান থেকেই করে যাচ্ছেন এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এভাবে মোবাইলে এসব রিংটোন বাজানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ও বৈধ?

ইসলামিক স্কলারদের মতে, আজান, তেলাওয়াত, জিকির , দোয়া–এগুলো ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আর ইবাদত করতে হয় একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। ইবাদতের যথেচ্ছা ব্যবহার ও প্রয়োগ অন্যায়। মোবাইলে রিংটোন হিসাবে এগুলোর ব্যবহার যে যথাযথ নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

যেসব কারণে রিংটোন হিসাবে আজান, তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ব্যবহারের আপত্তি তুলেছেন ইসলামিক স্কলাররা, তাহলো-

১. আদব রক্ষা করে  রিংটোনের কোরআন তেলাওয়াত শোনা হয় না। বরং কে কল দিয়েছে তা দেখা ও কল রিসিভ করার ব্যস্ততার দিকে মনোযোগ স্থির হয়ে যায়।

২. কোরআনের অর্থ বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। মোবাইলের রিংটোনে কোরআনের তেলাওয়াত বেজে উঠলে রিসিভের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে এবং এটিই মূল উদ্দেশ্য থাকে তাই আয়াতের যেকোনো স্থানেই তেলাওয়াত চলতে থাক সে দিকে ভ্রূক্ষেপ না করে রিসিভ করে ফেলে। এতে অনেক ক্ষেত্রে উচ্চারিত অংশের বিবেচনায় আয়াতের অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।

৩. অপবিত্র স্থান কিংবা টয়লেটে মোবাইলের রিংটোন বেজে ওঠা মারাত্মক অন্যায়। মোবাইল নিয়ে টয়লেট কিংবা বাথরুমে প্রবেশের পর রিং বেজে উঠলে অপবিত্র স্থানে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালাম, জিকির ও আজান বেজে উঠবে। এতে এর পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ হয়।

ইসলামিক স্কলারদের আরও বক্তব্য হলো- মোবাইল রিংটোন বাজানো হয় সাধারণত কাউকে ডাকা, জাগানো বা সতর্ক করার জন্য। আর কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত, আল্লাহর নাম স্মরণ, দুরুদ পড়া ও জিকির করার বিষয়টি মানুষকে ডেকে পাঠানো বা সর্তক করার জন্য নির্ধারণ করেনি ইসলাম। বরং এসব হলো মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত। তাই এসব ইসলামিক বিষয়গুলোকে মোবাইলের রিংটোন হিসেবে বাজিয়ে ইসলামের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজস্বতা ধ্বংস করে ভিন্ন পথে ব্যবহারের সুযোগ নেই।

ইসলামি ফিকহের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, আল্লাহ তাআলার নাম, কুরআনের আয়াত বা দরূদ শরিফ, জিকির ইত্যাদি কাউকে ডাকা, দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহার ইসলামে কোনোভাবেই বৈধ নয়।

(ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৩১৫, আলমুগনী ৪/৪৮২, রদ্দুল মুহতার ১/৫১৮, ১/৫৪৬, আলাতে জাদীদা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রহ., আলকাফী ১/৩৭৬, আলআশবাহ ৩৫)

এমএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন