ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

পায়খানা-প্রস্রাবের নিয়ম-কানুন

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা থেকে বেঁচে থাকো, কারণ সাধারণত প্রস্রাবের কারণেই কবরের আজাব হয়ে থাকে। ’ তাই প্রস্রাব-পায়খানায় গমনকারী ব্যক্তির জন্য নিম্নে বর্ণিত আদবগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাহলো-

১. এমন স্থানে পায়খানা- প্রস্রাব করা, যেখানে বসলে মানুষ দেখে না, আওয়াজ শোনে না এবং দুর্গন্ধ আসে না। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পায়খানার উদ্দেশে দূরে চলে যেতেন, যেন তাঁকে কেউ দেখতে না পায়। (তিরমিজি ২০; আবু দাউদ ২)

২. নরম ও নিচু স্থান বেছে নেওয়া, যাতে প্রস্রাবের ছিটা শরীরে না লাগে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রস্রাব করার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি একটি দেয়ালের গোড়ার নরম মাটিতে গিয়ে প্রস্রাব করলেন। এরপর তিনি বললেন, ’তোমাদের কেউ প্রস্রাব করতে চাইলে যেন নীচু নরম জায়গা অনুসন্ধান করে নেয়। (আবু দাউদ ৩)

৩. পায়খানা প্রস্রাবের সময় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবাইস’ পাঠ করা। (বুখারি, হাদিস : ১৩৯)

৪. নিজের বাঁ পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসা। এতে মল বের হওয়া সহজ। (বায়হাকি ৪৬৬; মজমাউজ জাওয়ায়েদ  ১০২০)

৫. পায়খানা-প্রস্রাব করতে যাওয়ার সময়  বাঁ পা দিয়ে প্রবেশ করা এবং ডান পা দিয়ে বের হওয়া। (নাসাঈ ১১১; মুসনাদে আহমাদ ২৬৩২৬)

৬. পায়খানা-প্রস্রাবের সময় মাথা ঢেকে রাখা। (বায়হাকি ৪৬৪)

৭. কোনো গর্তে প্রস্রাব না করা। কারণ ভেতরে পোকামাকড়-সাপ থাকলে ক্ষতি করার আশঙ্কা প্রবল। (আবু দাউদ ২৭)

 ৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা তিনটি অভিশপ্ত কাজ থেকে বিরত থাকবে। সেগুলো হচ্ছে- মানুষের অবতরণ স্থল, চলাচলের পথ ও জলাশয়ে চলাচলের পথে ছায়াবিশিষ্ট জায়গায় পায়খানা করা।’ (আবু দাউদ ২৬)

১০.  নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা দু’টি অভিশপ্ত কাজ থেকে দূরে থাকবে। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, অভিশপ্ত কাজ দু’টি কি হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বলেন-

‘মানুষের যাতায়াতের পথে অথবা (বিশ্রাম নেয়ার) ছায়া বিশিষ্ট জায়গায় প্রস্রাব পায়খানা করা। এমন ছায়ায় বসে প্রস্রাব-পায়খানা করবে না, যেখানে বসে মানুষ কথা বলে। (আবু দাউদ ২৫)

১১. নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন প্রস্রাব-পায়খানার ইচ্ছা করতেন, তিনি জমিনের নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত কাপড় উঠাতেন না।’ (আবু দাউদ ১৪)

১২. গোসলের স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করা মাকরুহ। (তিরমিজি ২১)

১৩. কোনো অপারগতা ছাড়া ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করা মাকরুহ। (মুসনাদে আহমাদ ২৬৩২৬)

১৪. অপারগতা ছাড়া দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা মাকরুহ। এতে প্রস্রাবের ছিটা গায়ে লাগার প্রবল আশঙ্কা থাকে। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে দেখেন। তিনি বলেনম হে ওমর! দাঁড়িয়ে প্রস্রাব কর না। (উমার বলেন,) তারপর আমি আর কখনও দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করিনি। (তিরমিজি ১২)

১৫. প্রস্রাব-পায়খানা শেষে ডান পা দিয়ে বের হওয়া এবং এই দোয়া পড়া - ‘আলহামদু লিল্লা হিল্লাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়াফানি।’

এমএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন