মুসাফাহায় গুনাহ মাফ হয়
মুসাফাহা হৃদয়ে বন্ধন জোড়ে, গুনাহ মাফ করে। এক মুসলিমের সাথে আরেক মুসলিমের সাক্ষাতে সালাম বিনিময়ের পর প্রথম কাজই হল মুসাফাহা। এটা মুসলিমের সংস্কৃতি। দুই হাতের মিলন হৃদয়কেও ছুঁয়ে যায়, জুড়ে দেয় হৃদয়ের বন্ধন, ঘুঁচে যায় দূরত্ব। মাফ হয় গুনাহ।
মহান আল্লাহ তাআলাও চান যে, এক মুমিন আরেক মুমিনের সঙ্গে এমনই কাছাকাছি থাকবে, অন্তরঙ্গ থাকবে। ফলে মুসাফাহা আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দের আমল। এর কারণে আল্লাহ খুশি হন এবং তাদের মাফ করে দেন। হাদিসের বর্ণনা থেকেই তা প্রমাণিত-
হজরত বারা ইবনে আজেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
مَا مِنْ مُسْلِمَيْنِ يَلْتَقِيَانِ فَيَتَصَافَحَانِ إِلّا غُفِرَ لَهُمَا قَبْلَ أَنْ يَفْتَرِقَا.
সাক্ষাৎকালে যখন দুজন মুসলিম মুসাফাহা করে তখন তারা পৃথক হওয়ার আগেই তাদের মাফ করে দেওয়া হয়।’ (তিরমিজি ২৭২৭; আবু দাউদ ৫২১২)
মুসাফাহার আমল সালামের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। যেমনিভাবে সালামের সময় একে অপরের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার দোয়া করে থাকেন। ঠিক তেমনি মুসাফাহার সময় একে অপরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করতে থাকেন। আর বলতে থাকেন-
يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وِلَكُمْ
উচ্চারণ : ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা আপনাদের এবং আমাদের ক্ষমা করুন।’
এ কারণেই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসাফাহাকারী ব্যক্তি নিজেদের স্থান ত্যাগ করার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। এর চেয়ে সৌভাগ্যের আমল আর কী হতে পারে! আর মুসাফাহার মাধ্যমে একে অপরের কল্যাণ কামনা করে থাকেন। যে কোনো ভালো কাজের দ্বারা যেহেতু আল্লাহর হক সম্পৃক্ত ছোট গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়। তাই কেউ যদি নিয়মিত মুসাফাহা করেন, আশা করা যায় আল্লাহর হক সম্পর্কিত ছোট গুনাহগুলো থেকেও মুক্তি পাবেন মুমিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দেখা-সাক্ষাতে সালাম বিনিময়ের পর পরস্পরে হাত মেলানোর মাধ্যমে হৃদয়ে সম্পর্ক গড়ার এবং গুনাহ মাফের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম