যে আমলকারীকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না
লা ইলাহা ইল্লাহ এর ঘোষণা ও স্বীকৃতির মর্যাদা অনেক বেশি। যে স্বীকৃতিতে মিলবে চমৎকার উপকার। জাহান্নামের আগুন স্বীকৃতি দানকারীকে স্পর্শও করবে না। হাদিসের দিকনির্দেশনায় এসেছে-
হজরত আবু সাঈদ ও আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন লোক ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ বললে সে সময় তার প্রভু তার কথাটি সত্য বলে অনুমোদন দেন এবং বলেন, ‘আমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আমিই মহান।’
আর বান্দা যখন বলে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু’ (আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক), তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং আমি এক।
বান্দা যখন বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু’ (আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তার কোনো অংশীদার নেই), তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আমি এক, আমার কোনো অংশীদার নেই।’
বান্দা যখন বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু’ (আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তারই রাজত্ব, সমস্ত প্রশংসাও তার), তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ছাড়া কোন মাবুদ নেই, রাজত্ব আমারই এবং সকল প্রশংসা আমার জন্যই।’
বান্দা যখন বলে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ (আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো অনিষ্ট বা উপকার করার ক্ষমতা কারো নেই), তক্ষনি আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আমি ছাড়া (আমার সহযোগিতা ছাড়া) অকল্যাণ দূর করা ও মঙ্গল পাওয়ার সামর্থ্য কারো নেই।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলতেন, যে লোক রোগাক্রান্ত অবস্থায় এই বাক্যগুলো পাঠ করলো, তারপর মৃত্যুবরণ করলো, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।’ (ইবনু মাজাহ ৩৭৯৪ তিরমিজি ৩৪৩০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত তাওহিদের স্বীকৃতি দেওয়ার তাওফিক দান করুন। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস