ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

কোরআনে ‘মুহাম্মাদ ও আহমাদ’ নামটি কতবার এসেছে?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২২

মুহাম্মাদ ও আহমাদ দুটি নাম। নাম দুটি অনেক মর্যাদা ও সম্মানের। এ দুটিই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম। কোরআনুল কারিমে এ দুটি নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, নাম দুটি কোরআনে কতবার এসেছে? কোন সুরার কোন আয়াতে এসেছে?

পবিত্র কোরআনুল কারিমে মুহাম্মাদ নামটি চার জায়গায় এসেছে, তাহলো- সুরা আল-ইমরান, সুরা আহজাব, সুরা মুহাম্মাদ এবং সুরা ফাতাহ’র মধ্যে। আর আহমাদ নামটিও কোরআনুল কারিমে একবার এসেছে। তাহলো- সুরা সফের ৬নং আয়াতে। আয়াতগুলো তুলে ধরা হলো-

মুহাম্মাদ

১. وَ مَا مُحَمَّدٌ اِلَّا رَسُوۡلٌ ۚ قَدۡ خَلَتۡ مِنۡ قَبۡلِهِ الرُّسُلُ ؕ اَفَا۠ئِنۡ مَّاتَ اَوۡ قُتِلَ انۡقَلَبۡتُمۡ عَلٰۤی اَعۡقَابِکُمۡ ؕ وَ مَنۡ یَّنۡقَلِبۡ عَلٰی عَقِبَیۡهِ فَلَنۡ یَّضُرَّ اللّٰهَ شَیۡئًا ؕ وَ سَیَجۡزِی اللّٰهُ الشّٰکِرِیۡنَ

‘আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসুল। তার আগে নিশ্চয়ই অনেক রাসুল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৪৪)

২. مَا کَانَ مُحَمَّدٌ اَبَاۤ اَحَدٍ مِّنۡ رِّجَالِکُمۡ وَ لٰکِنۡ رَّسُوۡلَ اللّٰهِ وَ خَاتَمَ النَّبِیّٖنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا

‘মুহাম্মাদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী।* আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৪০)

* মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী; তাঁর পর আর কোনো নবি আসবেন না-এ বিষয়টি আল-কোরআনের এই আয়াত দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।

৩. وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ اٰمَنُوۡا بِمَا نُزِّلَ عَلٰی مُحَمَّدٍ وَّ هُوَ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّهِمۡ ۙ کَفَّرَ عَنۡهُمۡ سَیِّاٰتِهِمۡ وَ اَصۡلَحَ بَالَهُمۡ

‘আর যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যা নাজিল করা হয়েছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে ‘আর তা তাদের রবের পক্ষ থেকে (প্রেরিত) সত্য, তিনি তাদের থেকে তাদের মন্দ কাজগুলো দূর করে দেবেন এবং তিনি তাদের অবস্থা সংশোধন করে দেবেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ : আয়াত ২)

৪. مُحَمَّدٌ رَّسُوۡلُ اللّٰهِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ مَعَهٗۤ اَشِدَّآءُ عَلَی الۡکُفَّارِ رُحَمَآءُ بَیۡنَهُمۡ تَرٰىهُمۡ رُکَّعًا سُجَّدًا یَّبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنَ اللّٰهِ وَ رِضۡوَانًا ۫ سِیۡمَاهُمۡ فِیۡ وُجُوۡهِهِمۡ مِّنۡ اَثَرِ السُّجُوۡدِ ؕ ذٰلِکَ مَثَلُهُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ ۚۖۛ وَ مَثَلُهُمۡ فِی الۡاِنۡجِیۡلِ ۚ۟ۛ کَزَرۡعٍ اَخۡرَجَ شَطۡـَٔهٗ فَاٰزَرَهٗ فَاسۡتَغۡلَظَ فَاسۡتَوٰی عَلٰی سُوۡقِهٖ یُعۡجِبُ الزُّرَّاعَ لِیَغِیۡظَ بِهِمُ الۡکُفَّارَ ؕ وَعَدَ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ مِنۡهُمۡ مَّغۡفِرَۃً وَّ اَجۡرًا عَظِیۡمًا

মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল এবং তার সঙ্গে যারা আছে তারা কাফেরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকুকারী, সেজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সেজদার চি‎হ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজিলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, এরপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদের ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন।’ (সুরা ফাতহ : আয়াত ২৯)

আহমাদ

কোরআনুল কারিমে আহমাদ নামটি একবার এসেছে। তাহলো-

وَ اِذۡ قَالَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ یٰبَنِیۡۤ اِسۡرَآءِیۡلَ اِنِّیۡ رَسُوۡلُ اللّٰهِ اِلَیۡکُمۡ مُّصَدِّقًا لِّمَا بَیۡنَ یَدَیَّ مِنَ التَّوۡرٰىۃِ وَ مُبَشِّرًۢا بِرَسُوۡلٍ یَّاۡتِیۡ مِنۡۢ بَعۡدِی اسۡمُهٗۤ اَحۡمَدُ ؕ فَلَمَّا جَآءَهُمۡ بِالۡبَیِّنٰتِ قَالُوۡا هٰذَا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ

‘আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনি ইসরাঈল! নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসুল। আমার আগের তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসুলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। এরপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করলো, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু’।’ (সুরা সফ : আয়াত ৬)

এমএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন