জামাতে নামাজ পড়তে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
মুমিন বান্দা জামাতে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে জোর নির্দেশ দিয়েছেন। মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের অনেক সওয়াব রয়েছে। এ সম্পর্কে একাধিক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
১. জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত একা পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ ঊর্ধ্বে। (বুখারি ও মুসলিম)
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকি পান, তিনি ওয়াক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমা মসজিদে পড়লে ৫০০ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে ৫০ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবেন। (ইবনে মাজা, মিশকাত)
জামাতে নামাজ আদায়ে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেগুলো মেনে জামাতে নামাজ পড়া জরুরি। তাহলো-
১. জামাতের সময় কাতার সোজা করে নামাজ পড়া সুন্নাত।
২. প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। মসজিদেই নামাজ আদায় করতে হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে মসজিদের বাইরেও জামাতে নামাজ আদায় করা যাবে।
৩. জুমা এবং দুই ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য জামাত শর্ত।
৪. তারাবিহ নামাজ জামাতে পড়াও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
৫. কুসুফের নামাজ জামাতে আদায় করা সুন্নাত মুয়াক্কাদাহ।
৬. রমজান মাসে তারাবিহ পড়ার সময় বিতরের নামাজ জামাতে পড়া মুস্তাহাব।
৭. নামাজির সামনে একহাত উঁচু ও আঙুল পরিমাণ মোটা কোনো জিনিস দিয়ে সুতরা দেওয়া মুস্তাহাব।
৮. সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিপদে-মুসিবতে একত্রে জামাতে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মানুষ বৃষ্টি কামনায় ইসতিসকার নামাজ পড়ে থাকে। তাই জামাতের ব্যাপারে উম্মাতে মুসলিমার সতর্ক হওয়া জরুরি।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে জামাতে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম