ক্ষমতা থাকার পরও বদলা না নেওয়ার পুরস্কার
যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়ন করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তাকে তার চাহিদা মতো পুরস্কার গ্রহণের ইখতিয়ার দেবেন। আল্লাহ তাআলা তাকে চাহিদা মতো কী পুরস্কার গ্রহণের অপার দেবেনে?
রাগ ও ক্ষোভের বিপরীতে বদলা না নিয়ে ধৈর্যধারণ করলে পরকালে রয়েছে মহান পুরস্কার। কেয়ামতের দিন সব মানুষের সামনে তাকে ডাকা হবে এবং তাকে জান্নাতের সুন্দরী নারীদের থেকে যাকে ইচ্ছা গ্রহণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হবে। হাদিসের বর্ণনায় বিষয়টি এভাবে ওঠে এসেছে-
হজরত মুয়াজ ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তাআলা তাকে কেয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে ডেকে (জান্নাতের) হুর থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ করার ইখতিয়ার দেবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
এ হচ্ছে রাগ না করে ধৈর্যধারণের পুরস্কার। পরকালে এরচেয়ে মর্যাদার পুরস্কার আর কী হতে পারে! যখন কোনো ব্যক্তি অন্য কারো প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়। আর তার ওপর বদলা নিতেও সক্ষম। সে অবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য পাওয়ার উদ্দেশে তার প্রতি ক্ষুব্ধও হলো না আবার বদলাও নিলো না। বরং তাকে ছেড়ে দিলো; রাগ না করে ধৈর্যধারণ করলো; ওই ব্যক্তির জন্যই এ পুরস্কার নির্ধারিত।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, যে কোনো বিষয়ে রাগ বা ক্ষোভ জন্মালে ধৈর্যের সঙ্গে তা মোকাবেলা করা। রাগ বা ক্ষোভ মেটানো থেকে বিরত থাকা। সব সময় ধৈর্যের পরিচয় দেওয়া উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাগ-ক্ষোভ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। ধৈর্যধারণের মাধ্যমে জান্নাতি মহা পুরস্কার পেয়ে নিজেদের ধন্য করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম