কোরবানি নিয়ে নবিজীর (সা.) ঘোষণা
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত কোরবানি। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য ইবাদত এটি। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম আল্লাহর ভালোবাসার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ এ কোরবানি মহান রবের সেরা নিদর্শন। কোরবানি একদিকে খুশির দিন অন্যদিকে নবিজীর বিশেষ ভাবনার দিন। এ দিন নিয়ে তিনি ঘোষণা করেছেন বিশেষ সুসংবাদ। কী সেই সুসংবাদ?
সামনে আসছে ঈদুল আজহা তথা কোরবানি। উদহিয়া বা কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা কোরবানি করার নির্দেশ দিয়েছেন এভাবে-
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
’সুতরাং তোমার তোমাদের রবের কাছেই প্রার্থনা কর ও কোরবানি দাও (একমাত্র তার জন্যেই)।’ (সুরা কাউছার : আয়াত ২)
দ্বিতীয়ত কোরবানি দেওয়া নিয়ে নবিজী বিশেষ ঘোষণা দিয়েছেন। যা একটি বিশেষ পছন্দনীয় আমল। হাদিসে এসেছে-
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ঈদের নামাজের পর কোরবানি করল, সে তার ইবাদত পূর্ণ করল (ঈদের দিনের) এবং মুসলিমদের (পথ ও পন্থা) অনুসরণ করলো।’ (বুখারি)
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, ঈদুল আজহার দিনে পশু কোরবানির চেয়ে প্রিয় কোনো আমল আল্লাহ তাআলার কাছে নেই।'
মনে রাখতে হবে
কোরবানি করাকে ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বলা হয়েছে। অন্য যেসব আমলগুলো ইসলামের নিদর্শন, সেসব আমলগুলোর মধ্যেও কোরবানি অন্যতম। ইসলামে কোরবানির গুরুত্ব অনেক বেশি।
মুসলিম উম্মাহর জন্য পশু জবাই করার মাধ্যমে কোরবানি করা হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের সুন্নাহ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে কোরবানি করেছেন। তাঁর উম্মতকে কোরবানি করতে উৎসাহিত করেছেন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোরবানির মতো বিশেষ ইবাদত আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যথাযথভাবে পালন করা। আল্লাহর ভালোবাসায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও আমল যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম