ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

ইতেকাফের আগে নারীদের যে ৮ বিষয় জানা জরুরি

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:২৪ এএম, ২১ এপ্রিল ২০২২

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

মসজিদে ইতেকাফ পুরুষদের জন্য
মসজিদে গিয়ে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করা পুরুষদের জন্য সুন্নত, নারীদের জন্য নয়। তাই তারা ঘরে নিজের নামাজের জায়গায় ইতেকাফ করবেন, মসজিদে নয়। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/১১৩)।

স্থান নির্ধারণ
নারীরা ঘরে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদতের জন্য নির্ধারিত স্থানে ইতেকাফ করবেন। যদি আগ থেকেই ঘরে নামাজের জন্য কোনো স্থান নির্ধারিত না থাকে, তাহলে ইতেকাফের জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করে নেবেন। সেখানেই ইতেকাফ করবেন। (হেদায়া : ১/২৩০)।

নির্ধারিত স্থান মসজিদের মতো
নারীরা ঘরের যে স্থানটিকে ইতেকাফের জন্য নির্ধারিত করবেন, তা মসজিদের মতো গণ্য হবে। মানবিক প্রয়োজন ছাড়া তারা সেখান থেকে বেরুতে পারবেন না। মানবিক প্রয়োজন ছাড়া সে স্থানের বাইরে গেলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২১১)।

ইতেকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি
বিবাহিতা নারীকে রমজানের শেষ দশকের ইতেকাফ বা অন্য সময়ের নফল ইতেকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি নিতে হবে। স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতেকাফ করা অনুচিত। স্বামীদের উচিত, যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া স্ত্রীদের ইতেকাফে বাঁধা না দেওয়া। তাদের ইতেকাফের সুযোগ দেওয়া। এতে কিন্তু উভয়ই সওয়াব পাবেন। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২১১)।

অনুমতি দেওয়ার পর বাঁধা এলে
স্বামী স্ত্রীকে ইতেকাফের অনুমতি দেওয়ার পর আর বাঁধা দিতে পারবেন না। বাঁধা দিলেও সে বাঁধা মানা স্ত্রীর জন্য জরুরি নয়। (ফতোয়ায়ে শামি : ৩/৪২৮)।

মেলামেশা
ইতেকাফ অবস্থায় (রাতেও) স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। (সুরা বাকারা : ১৮৭, বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৮৫)।

হায়েজ-নেফাস
নারীদের ইতেকাফের জন্য হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র হওয়া শর্ত। হায়েজ-নেফাস অবস্থায় ইতেকাফ সহিহ হয় না। (বাদায়েউস সানায়ে : ২/২৭৪)।

পিরিয়ড শুরু হওয়া পর্যন্ত ইতেকাফ
নারীদের ইতেকাফে বসার আগেই হায়েজ-নেফাসের দিন-তারিখ হিসাব করে বসা উচিত। যাতে ইতেকাফ শুরু করার পর পিরিয়ড শুরু না হয়ে যায়। তবে কারও রমজানের শেষ দশকে পিরিয়ড হওয়ার নিয়ম থাকলে তিনি পিরিয়ড শুরু হওয়া পর্যন্ত নফল ইতেকাফ করতেই পারেন। তবে ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখলে ও ইতেকাফ করলে রোজা ও ইতেকাফ সহিহ হবে। ইতেকাফ শুরু করার পর পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে ইতেকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতেকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫০২)।

মুনশি/এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন